তুরস্কে এবার এরদোয়ানের লক্ষ্য গণমাধ্যম

তুরস্কে ব্যর্থ অভ্যুত্থান পরবর্তী দমনাভিযানে এবার প্রেসিডেন্ট রিজেপ তায়িপ এরদোয়ানের টার্গেট হয়েছে গণমাধ্যম।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 July 2016, 12:59 PM
Updated : 25 July 2016, 01:16 PM

তুরস্ক কর্তৃপক্ষ ৪২ জন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে আটকাদেশ জারি করেছে। ১৫ জুলাইয়ের  অভ্যুত্থান প্রচেষ্টার তদন্তের অংশ হিসাবে তাদেরকে আটকের এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় গণমাধ্যম।

পরোয়ানা জারি হওয়া সাংবাদিকদের তালিকায় আছেন বিশিষ্ট ভাষ্যকার নাজলি লিকাক। যদিও আঙ্কারা এ ব্যাপারে প্রকাশ্যে কিছু বলেনি।

তালিকায় থাকা কোনও সাংবাদিক এরই মধ্যে আটক হয়েছেন কিনা সে ব্যাপারেও স্পষ্ট কিছু জানা যায়নি বলে জানিয়েছে বিবিসি।

তুরস্কে সরকারের দমনাভিযানে এ পর্যন্ত সরকারি কর্মকর্তা থেকে শুরু করে সেনা, বিচারকসহ ৫০ হাজারের বেশি মানুষ আটক হয়েছে, চাকরিচ্যুত হয়েছে কিংবা তদন্তের মুখে পড়েছে।

প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান দেশের প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে ‘ভাইরাস’ মুক্ত করার অঙ্গীকার করেছেন।

অভ্যুত্থান প্রচেষ্টার কয়েকদিন পরই তুরস্ক কর্তৃপক্ষ কয়েকটি গণমাধ্যম চ্যানেল বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু এবার প্রথমবারের মত ব্যক্তিগতভাবে সাংবাদিকদের চিহ্নিত করে পদক্ষেপ নেওয়া হল।

এই সাংবাদিকদের মধ্যে ৭২ বছর বয়সী নাজলি লিকাকই সবচেয়ে বিশিষ্ট। দুর্নীতির অভিযোগে তদন্তনাধীনে থাকা সরকারি মন্ত্রীদের নিয়ে সমালোচনা করার জন্য তিনবছর আগে সরকারপন্থি সাবাহ দৈনিক থেকে নাজলিকে বরখাস্ত করা হয়।

অভ্যুত্থান প্রচেষ্টা আগে থেকেই গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপর কড়াকড়ির কারণে সমালোচিত হয়ে এসেছে এরদোয়ান সরকার। যদিও সরকার বরাবরই গণমাধ্যমের ওপর কড়াকড়ির অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।

সাম্প্রতিক অভ্যুত্থানচেষ্টার পর সরকারের শুরু করা ব্যাপক দমনাভিযানের প্রথম দুদিনে  টার্গেট ছিল প্রধানত সেনাবাহিনী এবং বিচারকসহ বিচার বিভাগের কর্মচারীরা। এরপর দিন দিনই এর আওতা বাড়িয়ে চলেছে এরদোগান সরকার।

টার্গেট হয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। বহু সংখ্যক শিক্ষক বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন বরখাস্ত হওয়া ছাড়াও অনেকেরই বিদেশ সফর নিষিদ্ধ হয়েছে। আর এখন সরকার খড়গ শানাল সাংবাদিকদের ওপর।

অভ্যুত্থান প্রচেষ্টার জন্য তুরস্ক সরকার যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত ধর্মীয় নেতা ফেতুল্লাহ গুলেনকে দায়ী করে আসছে। তবে এ অভিযোগ গুলেন অস্বীকার করে আসছেন।