ব্যর্থ সেনা অভ্যুত্থানচেষ্টার পর ব্যাপক দমন অভিযানের মধ্যে তুরস্কের এলিট প্রেসিডেন্সিয়াল গার্ড রেজিমেন্ট ভেঙে দেওয়ার কথা জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী বিনালি ইয়ালদিরিম।
Published : 24 Jul 2016, 11:02 AM
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী শনিবার স্থানীয় একটি টেলিভিশনকে বলেছেন, “ওই রেজিমেন্টের আর কোনো প্রয়োজন নেই।”
গত সপ্তাহের অভ্যুত্থানচেষ্টার পর প্রেসিডেন্সিয়াল গার্ড রেজিমেন্টের আড়াই হাজার সদস্যের মধ্যে অন্তত ২৮৩ জনকে আটক করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী তুর্কি ধর্মীয় নেতা ফেতুল্লাহ গুলেনের ভাইপো মুহাম্মেদ সাইত গুলেন এবং ঘনিষ্ঠ সহযোগী হালিস হ্যান্সিকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছে তুর্কি কর্তৃপক্ষ।
তুরস্ক সরকার ওই অভ্যুত্থানচেষ্টার জন্য গুলেনকে দায়ী করে এলেও ওই অভিযোগ তিনি অস্বীকার করে আসছেন।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিজেপ তায়েপ এরদোয়ান দেশে জরুরি অবস্থা জারি করে যে দমন অভিযান চালাচ্ছেন, তাতে হাজারের বেশি বেসরকারি স্কুল, বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল ইনস্টিটিউট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে;গ্রেপ্তার ও বরখাস্ত করা হয়েছে হাজার হাজার সেনা ও পুলিশ সদস্য, শিক্ষক, বিচারককে।
বুধবার তুরস্কে জরুরি অবস্থা জারি করায় নাগরিকদের মত প্রকাশের স্বাধীনতাসহ বেশ কিছু অধিকার স্থগিত হয়ে গেছে। সেই সঙ্গে প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান এখন পার্লামেন্টকে পাশ কাটিয়ে যে কোনো আইন তৈরি করার সুযোগ পেয়ে গেছেন।
বার্তা সংস্থা আনাদলু জানিয়েছে, এরদোয়ান শনিবার নতুন যে আদেশ জারি করেছেন, তাতে সন্দেহভাজন হিসেবে আটকের মামলা ছাড়াই ৩০ দিন আটকে রাখা যাবে, যা আগে ছিল চার দিন।
এরদোয়ান বৃহস্পতিবার রয়টার্সকে এক সাক্ষাৎকারে বলেন, তিনি সশস্ত্র বাহিনীকে নতুন করে সাজাবেন এবং সেখানে ‘নতুনদের’ আনবেন।
এরদোয়ানের তত্ত্বাবধানে তুরস্কের সুপ্রিম মিলিটারি কাউন্সিলের আগামী ২৮ জুলাই বৈঠকে বসার কথা রয়েছে।