পুলিশ জানিয়েছে, বুধবার বন্দর শহর করাচিতে লিয়াকতবাদের ব্যস্ত এলাকায় সাবরির গাড়িতে গুলি চালায় দুই বন্দুকধারী। হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান তিনি।
হামলার দায় তাৎক্ষণিকভাবে কেউ স্বীকার করেনি। ৪৫ বছর বয়স্ক সাবরি ছিলেন এ উপমহাদেশের শীর্ষ কাওয়ালি গায়কদের অন্যতম।
মুখোশধারী জঙ্গিরা প্রাদেশিক এক শীর্ষ বিচারকের ছেলেকে অপহরণের দু’দিন পর গায়ক খুনের এ ঘটনা ঘটল।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সাবরির গাড়ি একটি সেতুর ওপর দিয়ে যাওয়ার সময় বন্দুকধারীরা তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এতে তার সঙ্গে থাকা এক আত্মীয়ও আহত হন। তার অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
সিন্ধুর পুলিশ প্রধান রয়টার্সকে বলেন, “দুই অস্ত্রধারী একটি মটরসাইকেলে করে এসে সাবরির গাড়িতে হামলা করে। সাবরি গাড়ির চালকের আসনে ছিলেন।”
সাবরি পাঁচটি গুলিবিদ্ধ হন বলে জানিয়েছে পুলিশ। ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা মুকাদ্দাস হায়দার এ ঘটনাকে ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড এবং সন্ত্রাসী হামলা’ বলে বর্ণনা করেছেন।
পাকিস্তানে কাওয়ালির লাখ লাখ দর্শকশ্রোতা আছে। তবে সম্প্রতি কয়েকবছরে এ সঙ্গীতচর্চা সুন্নি চরমপন্থিদের হুমকির মুখে পড়েছে।
অতীতে সুফি ইসলামের সঙ্গে সম্পৃক্ত কোনও লক্ষ্যবস্তুতে হামলার জন্য তালেবান গোষ্ঠীকে দোষারোপ করা হত। তবে গত কয়েকবছরে এ ধরনের কোনও হামলার ঘটনা দেখা যায়নি।
আমজাদ সাবরি ছিলেন পাকিস্তানের প্রখ্যাত কাওয়ালি শিল্পি হাজী গোলাম ফরিদ সাবরির ছেলে। গত বছর তার বিরুদ্ধে ধর্ম অবমাননার দায়ে একটি মামলা হয়েছিল।তিনি নবী মুহাম্মদ (সাঃ) এর পরিবারের সদস্যদের নিয়ে একটি গান করেছিলেন।
তবে ওই ঘটনার সঙ্গে তাকে হত্যার কোনও যোগসূত্র আছে কিনা তা এখনও নিশ্চিত জানা যায়নি।
করাচিতে তিনবছরেরও বেশি সময় ধরে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে সেনা অভিযান চলে আসলেও সেখানে সন্ত্রাসী তৎপরতা এখনও থামেনি।
গত সোমবার করাচির সুপারমার্কেটের বাইরে থেকে অপহৃত হন এক আইনজীবী। এর আগে গত মে মাসে বন্দুকধারীরা বিশিষ্ট একজন অধিকার কর্মী খুররাম জাকিকে গুলি করে হত্যা করে। গত বছর এপ্রিলে গাড়িতে গুলি করে খুন করা হয় বিশিষ্ট কর্মী সাবিন মাহমুদকে।