ভারতের উত্তর প্রদেশের অযোধ্যায় এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।
মামলার অভিযোগে বজরং দলের ওই প্রশিক্ষণার্থীদের বিরুদ্ধে অন্যান্য ধর্মীয় গোষ্ঠীগুলোর প্রতি ‘ঘৃণা’ ছড়ানোর অভিযোগ আনা হয়েছে।
১০ মে গোষ্ঠীটি ‘আত্মরক্ষা শিবির’ নামে অযোধ্যায় একটি প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন করে। এই প্রশিক্ষণের ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত হলে তা ভাইরাল হয়।
ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, বজরংয়ের সদস্যরা রাইফেলসহ মাটিতে শুয়ে পজিশন নিয়ে টুপি পড়া স্বেচ্ছাসেবকদের পরাজিত করছে। ভিডিওতে টুপি পরা স্বেচ্ছাসেবকদের ‘শত্রু’ হিসেবে দেখানো হয়েছে।
পুলিশের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা মোহিত গুপ্ত জানিয়েছেন, মামলায় দলটির ৫০ জন সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে।
এ বিষয়ে আত্মপক্ষ সমর্থন করে ভিএইচপি নেতা রাভি অনন্ত বলেছেন, “আমরা নারীদের সহায়তা ও সুরক্ষা দিতে মানুষদের প্রশিক্ষণ দিয়েছি। অন্যান্য সম্প্রদায়কেও এই কাজ করতে স্বাগত জানাচ্ছি।”
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে উত্তর প্রদেশের গভর্নর রাম নায়েক জানিয়েছেন, প্রশিক্ষণ শিবিরের কর্মকাণ্ড বৈধ ছিল।
তিনি বলেন, “যারা নিজেদের রক্ষা করতে পারে না, তারা দেশকেও রক্ষা করতে পারবে না। পুরোপুরি আত্মরক্ষার প্রয়োজনে কিছু তরুণ যদি অস্ত্র প্রশিক্ষণ নেয় তাতে দোষের কিছু নেই।”