যুক্তরাষ্ট্রে গর্ভপাত অবৈধ ঘোষিত হলে ইচ্ছাকৃতভাবে যে সব নারীরা গর্ভের অবসান ঘটাবেন তাদের শাস্তির মুখোমুখি হতে বলে মন্তব্য করে প্রবল সমালোচনার মুখে পড়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
Published : 31 Mar 2016, 03:22 PM
মার্কিন এই ধনকুবের দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে জনসমর্থনে সবচেয়ে এগিয়ে আছেন।
বুধবার তার এ মন্তব্যের পর যুক্তরাষ্ট্রে গর্ভপাতের পক্ষ-বিপক্ষে থাকা সব পক্ষ ট্রাম্পের সমালোচনায় মুখর হয়ে ওঠে।
প্রবল সমালোচনার মুখে নিজের বক্তব্য থেকে সরে আসেন ট্রাম্প, রিপাবলিকান পার্টি লাইনের সঙ্গে সুর মিলিয়ে তিনি বলেন, ওই নারী নয় যে ব্যক্তি গর্ভপাত ঘটানোর কাজটি করবেন তার শাস্তি হওয়া উচিত।
প্রথমে তিনি বলেন, গর্ভপাত ইস্যুটি রাষ্ট্রের দেখা উচিত। পরে আবার বলেন, যে চিকিৎসক গর্ভপাত ঘটনোর কাজটি করবেন, তাকেই বিষয়টির জন্য দায়ী করা উচিত।
নিজের শেষ বিবৃতিতে ট্রাম্প বলেন, “একজন নারীর গর্ভপাত ঘ্টানোর মতো অবৈধ কাজটি যে চিকিৎসক বা অন্য যে কেউ করবেন আইনত তাকেই দায়ী করা উচিত। এক্ষেত্রে নারীকে ঘটনার শিকার হিসেবে বিবেচনা করতে হবে।”
ট্রাম্পের আগের বিবৃতির পর গর্ভপাতের পক্ষে-বিপক্ষে উভয় দিক থেকে প্রবল সমালোচনার তীর ছুঁটে আসে।
যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে গর্ভপাত একটি বিতর্কিত বিষয় হয়ে আছে। ৪০ বছর আগে ১৯৭৩ সালে সর্বোচ্চ আদালতের এক রায়ের মাধ্যমে গর্ভপাত বৈধতা পেলেও বিতর্কের অবসান হয়নি।
দেশটির রক্ষণশীল রাজনীতিকদের অধিকাংশের কাছে গর্ভপাতের বিরোধীতা দলের একটি প্রধান নীতি হয়ে আছে।
ওয়াশিংটন কেন্দ্রিক রিপাবলিকান দলীয় স্টাব্লিশমেন্টের বাইরের একজন হিসেবে নিজেকে তুলে ধরে দলটির সমর্থকদের নিজের পক্ষে টেনেছেন ট্রাম্প। এক সময়ের ডেমোক্রেট সমর্থক ট্রাম্প গর্ভপাতের পক্ষেও ছিলেন।
নিজেকে সত্যিকার রক্ষণশীল প্রমাণ করার জন্য রিপাবলিকান নেতাদের চাপে আছেন তিনি। নিজেকে বেশি রক্ষণশীল প্রমাণ করতে যেয়ে নারী ও সংখ্যালঘু গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক মন্তব্যে করে নিজেকে সমালোচনার মুখে ঠেলে দিয়েছেন।