পিতৃত্বকালীন ছুটি নেওয়ার কথা বলে জাপানজুড়ে আলোচনার ঝড় তুলে দেওয়া এক পার্লামেন্ট সদস্য তার স্ত্রীর অন্তঃসত্ত্বা থাকা অবস্থায় আরেক ফ্যাশন মডেলের সঙ্গে প্রেমে জড়ানোর কথা স্বীকার করে পদত্যাগ করেছেন।
Published : 12 Feb 2016, 11:58 AM
প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের নেতৃত্বাধীন লিবারেল ডেমোক্রেটিক দলের (এলডিপি) সদস্য কেনশুকে মিয়াজাকি শুক্রবার সংবাদ সম্মেলন করে ক্ষমা চেয়ে পদত্যাগের ঘোষণা দেন।
তার স্ত্রী মেগুমি কানেকোও একজন পর্লামেন্ট সদস্য এবং একই দলের নেতা।
অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর পাশে থাকার জন্য গতমাসে পিতৃত্বকালীন ছুটি নেওয়ার কথা বলে আলোচনার জন্ম দেন মিয়াজাকি। তবে অনেকেই তখন এর সমালোচনায় বলেন, এতে নির্বাচনী এলাকার প্রতি তার দায়িত্ব পালনে বিঘ্ন ঘটবে।
এরই মধ্যে গত বুধবার জাপানি ট্যাবলয়েড ‘সুকান বুনসান’ মিয়াজাকির পরকীয়ার খবর ফাঁস করে দেয়।
ওই প্রতিবেদনের সঙ্গে প্রকাশিত এক ছবিতে দেখা যায়, এক বিকিনি মডেলকে সঙ্গে নিয়ে কিয়োটোর নিজের বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসছেন মিয়াজাকি।
সুকান বুনসানের তথ্য অনুযায়ী, মিয়াজাকির স্ত্রী যেদিন সন্তানের জন্ম দিলেন, তার কয়েকদিন আগে ওই ছবি তোলা হয়।
এই কেলেঙ্কারির খবরে নতুন সমালোচনার মধ্যে শুক্রবার সকালে টোকিওতে সংবাদ সম্মেলনে আসেন মিয়াজাকি।
মিয়াজাকির দাবি, ওই দিনই সেই তরুণীর সঙ্গে তার প্রথম পরিচয়। এরপর তিনবার তাদের সাক্ষাৎ হয়েছে, যার শেষটি ছিল কিয়োটোতে।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, স্ত্রীকে তিনি সব বুঝিয়ে বলেছেন এবং এ ধরনের আচরণের জন্য ক্ষমা চেয়েছেন।
এরপর পদত্যাগের কথা জানিয়ে জাপানি রীতিতে মাথা নুইয়ে পুরো জাতির কাছে ক্ষমা চেয়ে নেন মিয়াজাকি।
সাংবাদিকরা জানতে চেয়েছিলেন- সেই তরুণীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক আছে কি না। উত্তরে মিয়াজাকি বলেন, বিষয়টি তিনি অস্বীকার করতে পারেন না।
সংবাদ সম্মেলনে মিয়াজাকি বলেন, পিতৃত্বকালীন ছুটিতে স্ত্রীর পাশে থাকা জরুরি। কিন্তু তিনি নিজে ‘যে অন্যায়’ করেছেন, তা ক্ষমার অযোগ্য।