সঙ্গমে পুরুষসঙ্গীর মৃত্যুর পর এক নারীর বিপত্তির একটি ভিডিও নিয়ে তোলপাড় চলছে চীনে সোস্যাল মিডিয়ায়।
Published : 06 Feb 2016, 09:05 AM
চীনের ভিডিও শেয়ারিং ওয়েবসাইট ‘মিয়াওপাই’য়ে এই ভিডিওটি শেয়ার হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যে তা ভাইরাল হয়ে যায়, যা পরে ছড়িয়ে পড়ে যুক্তরাজ্যের ভিডিও শেয়ারিং ওয়েবসাইট ‘লাইভলিকস’-এও।
ভিডিওটিতে এক বৃদ্ধকে কম্বলচাপা দিয়ে হাসপাতালে নিতে দেখা যায়, আর তার দেহে উপুড় হয়ে ছিলেন এক নারী, যার যৌনাঙ্গ আটকে গিয়েছিল বলে যুক্তরাজ্যের ডেইলি মেইলের খবরে বলা হয়েছে।
ভিডিওতে ওই বৃদ্ধকে নিঃসার দেখা গেলেও নারীর নড়াচড়া বোঝা যাচ্ছিল।
বলা হচ্ছে, সঙ্গমরত অবস্থায় ওই বৃদ্ধের মৃত্যু ঘটার পর তার যৌনাঙ্গ আটকে গিয়েছিল নারীসঙ্গীর ভেতরে, যা পরে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে বের করতে হয়েছে।
সঙ্গমরত অবস্থায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু একেবারে বিরল নয়, বিশেষ করে পুরুষদের বেলায় তা ঘটার নজির বেশি।
আর যৌনাঙ্গ আটকে পড়ার ঘটনা বিরল হলেও অস্বাভাবিক নয় বলে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যাকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় বলা হয় ‘পেনিস ক্যাপটিভাস’।
এই ধরনের ঘটনার ব্যাখ্যায় যুক্তরাজ্যের যৌনরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. জন ডিন বিবিসিকে বলেন, যৌনমিলনের সময় পুরুষের যৌনাঙ্গের আকার স্বাভাবিকভাবেই বাড়ে, আর মিলনের চরম পর্যায়ে নারীর যৌনাঙ্গের পেশিগুলো তার উপর চেপে বসে। শেষে পুরুষের পেশিগুলো শিথিল হলে যৌনাঙ্গ আকারে ছোট হওয়ার পর বেরিয়ে আসে।
কিন্তু ভিডিওর ওই বৃদ্ধ মারা যাওয়ায় তার দেহের ক্রিয়াকর্ম স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় না হওয়ায় যৌনাঙ্গ শিথিল না হওয়ায় নারীসঙ্গীকে এই হ্যাপা পোহাতে হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এই ধরনের কয়েকটি ঘটনার বর্ণনা নিজের রোগীদের কাছেও পেয়েছেন বলে জানান ডা. রিড।
ওই নারীকে কীভাবে মুক্ত করা হয়েছিল, সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি। ঘটনাটি কোন এলাকার জানা যায়নি তা-ও।
ভিডিওটি ভাইরাল হয়ে গেলেও রাষ্ট্রের কড়া নিয়ন্ত্রণের মধ্যে থাকা চীনের সংবাদ মাধ্যমগুলো এর সত্যতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছে।