শনিবার ব্যাংকক শহরতলীর জীর্ণ একটি চারতলা ভবন থেকে ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বোমা বিস্ফোরণ স্থলে ব্যাগ রেখে যাওয়া ব্যক্তির আদলের বর্ণনার সঙ্গে গ্রেপ্তারের আদলের মিল আছে বলে দাবি করেছে পুলিশ। চারতলা ভবনটিতে হানা দিয়ে ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করার পাশাপাশি পুলিশ সেখান থেকে ‘বেশকিছু’ ভুয়া পাসপোর্ট ও বোমা বানানোর সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে।
বোনা বানানোর এসব সরঞ্জাম ১৭ অগাস্ট হিন্দু মন্দিরে বিস্ফোরিত বোমাটি তৈরিতে ব্যবহৃত হয়েছে বলে সন্দেহ করছে পুলিশ। থাইল্যান্ডের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ওই বোমা হামলায় ২০ জন নিহত হয়।
গ্রেপ্তার সন্দেহভাজনের বয়স ২৮ বছর। সে গত বছরের জানুয়ারি থেকে থাইল্যান্ডে আছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ আরো জানিয়েছে, বিদেশি এই সন্দেহভাজনকে একটি সামরিক স্থাপনায় আটক রাখা হয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে অবৈধ বিস্ফোরক রাখার অভিযোগ আনা হয়েছে। সন্দেহভাজন তার কাছে থাকা পাসপোর্টগুলো ভুয়া বলে স্বীকার করেছে।
কিসের ভিত্তিতে পুলিশ এ ধরনের একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছলো তা পরিষ্কার না করলেও তিনি বলেছেন, “নিজের কমরেডদের পক্ষে প্রতিশোধ নেওয়ার জন্যই ব্যক্তিগতভাবে সে এই কাজ করেছে।”
ব্যাংককের কেন্দ্রস্থলের জনাকীর্ণ এরাওয়ান মন্দিরে বোমাটির বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। হিন্দু এই মন্দিরটি দেশটির অন্যতম প্রধান পর্যটন আকর্ষণ এবং এর আশপাশে ব্যাংককের সবচেয়ে বিলাসবহুল বেশ কয়েকটি হোটেল ও সবচেয়ে বড় শপিং মলগুলো অবস্থিত।
নিহতদের মধ্যে ১৪ জন বিদেশী। এদের মধ্যে সাতজন চীনের ও হংকংয়ের নাগরিক। হামলায় বহু মানুষ আহত হয়েছেন।
দেশটির সামরিক সরকারের ধারণা, থাইল্যান্ডের অর্থনীতিকে ক্ষতিগ্রস্থ করতে দেশটির পর্যটন শিল্পের উপর হামলাটি চালানো হয়েছে।
ভয়াবহ এই হামলাটির প্রধান পরিকল্পনাকারীর বিষয়ে পুলিশ কিছু ক্লু পাওয়ার কথা জানিয়েছে।