শুক্রবার যাত্রা শুরু করার পর হ্যাংঝোও ইন্টারনেট কোর্ট-এ প্রথম মামলার শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। এটি ছিল এক অনলাইন লেখক ও এক প্রতিষ্ঠানের মধ্যকার কপিরাইট সম্পর্কিত মামলা।
হ্যাংঝোও আর বেইজিং থেকে মামলার দুই পক্ষের প্রতিনিধিরা তাদের কম্পিউটার থেকে এ শুনানিতে অংশ নেন। এই শুনানি ২০ মিনিট ধরে চলেছিল বলে বিবিসি’র প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
এই আদালত ‘সিভিল কেইসগুলো’র দিকে নজর দেবে, এর মধ্যে অনলাইন শপিং বিষয়ক মামলাগুলোও থাকবে।
এই আদালতে বাদী ও বিবাদীপক্ষ শারিরীকভাবে নয়, বরং ভিডিও চ্যাটে বিচারকের সামনে উপস্থিত হন।
এই আদালতের ভাইস-প্রেসিডেন্ট ওয়্যাং জিয়াংকিয়াও বলেন, “এই ইন্টারনেট আদালত ভৌগলিক সীমাবদ্ধতা দূর করে ও প্রচলিত শুনানির তুলনায় অনেক সময় বাঁচায়।”
২০১৬ সালে চীন আইনি ব্যবস্থার স্বচ্ছতা বাড়ানোর চেষ্টার অংশ হিসেবে প্রচলিত আদালতকক্ষগুলোর কিছু শুনানি স্ট্রিম করা শুরু করে। কেউ কেউ এই পদক্ষেপ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন বলে বিবিসি’র প্রতিবেদনে বলা হয়।
মানবাধিকার বিষয়ক আইনজীবী লিয়াং শিয়াওজুন বলেন, “আমি মনে করি না শুনানিগুলো অনলাইনে প্রচার করা সঠিক কারণ এই মামলার সঙ্গে জড়িত অনেক মানুষ হয়তো তাদের ব্যক্তিগত তথ্য প্রকাশ করতে চান না।”
অন্য কিছু দেশে অনলাইন পোর্টালগুলো মানুষকে সাইবার স্পেসে তাদের আইনি মামলার সমাধান করার সুযোগ ইতোমধ্যেই দিচ্ছে, উল্লেখ করা হয় প্রতিবেদনটিতে।