ব্লুমবার্গ-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, শাংহাইয়ের সঙ্গে একটি প্রাথমিক চুক্তি করেছে প্রতিষ্ঠানটি। চুক্তিটি হলে শহরটিতে স্থানীয়ভাবে উৎপাদনের সম্ভাব্যতা যাচাই শুরু করবে টেসলা।
এর আগেও এক প্রতিবেদনে বলা হয় দেশটিতে কারখানা তৈরি করছে মার্কিন প্রতিষ্ঠানটি। প্রকাশিত খবর অস্বীকার করে টেসলা জানায়, আপাতত চীনে কোনো কারখানা তৈরির পরিকল্পনা নেই তাদের।
দেশটির গুয়াংডং প্রদেশের স্থানীয় পত্রিকা সাউদার্ন মেট্রোপলিস ডেইলি’র প্রতিবেদনে বেশ কিছু সূত্রের বরাত দিয়ে জানানো হয়, প্রদেশটিতে আলাদা তহবিল এবং একটি কারখানা তৈরির পরিকল্পনা করছে মার্কিন বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটি।
“কারখানার স্থান ঠিক করা হয়েছে। স্থানীয় সরকারের কাছে পরিকল্পনাটি অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। যদি ঠিকভাবে পরিকল্পনা এগোয় তবে, এ বছরই প্রকল্পের ঘোষণা দেবে টেসলা,” বলা হয়েছে সাউদার্ন মেট্রোপলিস ডেইলি’র প্রতিবেদনে।
কিন্তু এমন খবর অস্বীকার করে টেসলা জানায়, এই মুহুর্তে দেশটিতে কোনো কারখানা তৈরির পরিকল্পনা নেই তাদের।
প্রতিষ্ঠানের এক মুখপাত্র ইমেইলে জানান, “চীনা বাজারের জন্য টেসলা দৃঢ়ভাবে অঙ্গীকারবদ্ধ, যদিও গুয়াংডংয়ে কারখানা তৈরির যে গুজব ছড়িয়েছে তা সত্য নয়।”
চীনে বৈদ্যুতিক গাড়ি তৈরি করলে সীমান্ত কর কমবে টেসলা’র, এমনটাও বলা হয় ওই প্রতিবেদনে।
এবার আগের প্রকাশিত ওই খবর সত্য হতে যাচ্ছে টেসলা’র এই চুক্তির মাধ্যমে। টেসলা’র বার্ষিক প্রতিবেদন অনুসারে, আগের বছর চীনে প্রতিষ্ঠানটির আয় তিনগুণ বেড়ে একশ’ কোটি মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে।
চুক্তির ব্যাপারে জানতে টেসলা’র সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
খবর প্রকাশের সময় প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার মূল্য কিছুটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৭৮.৫০ মার্কিন ডলার।