যুক্তরাষ্ট্রের স্যান ফ্রানসিসকোভিত্তিক এলিসিয়াম স্পেস নামের প্রতিষ্ঠানটি এই প্রকল্পকে ‘স্মারক মহাকাশযাত্রা’ নাম দিয়েছে। সাবেক নাসা কর্মী আর শেষকৃত্য পরিচালনাকারী বিশেষজ্ঞদের নিয়ে এই প্রতিষ্ঠান গঠিত হয়েছে, বলা হয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনবিসি’র প্রতিবেদনে। “মৃত্যুর দৃষ্টিভঙ্গিকে মাটির নিচ থেকে মহাকাশে নিয়ে যাওয়াই’ এই প্রকল্পের লক্ষ্য।
এই প্রকল্পে সাইন আপ করা প্রতি গ্রাহককে একটি করে বিশেষায়িত ছাই রাখার ক্যাপসুলসহ একটি যন্ত্র দেওয়া হবে। এর মাধ্যমে তারা তাদের কাছের কেউ মারা গেলে, শেষকৃত্যের পর তার ভস্ম সংগ্রহ করতে পারবেন। তারপর এটি এলিসিয়াম স্পেস-এর কাছে পাঠানো হবে ও তা মহাকাশযানে রাখা হবে। স্পেসএক্স ফ্যালকন ৯ রকেটে করে এটি কক্ষপথে পাঠানো হবে।
“আমাদের স্মারক মহাকাশযান প্রায় দুই বছর সম্মান ও শান্তির সঙ্গে পৃথিবীর কক্ষপথে ভ্রমণ করবে”, বলেন এলিসিয়াম স্পেস-এর প্রধান নির্বাহী থমাস সিভিট।
“ক্রমান্বয়ে, একদম শেষ এক কাব্যিক মূহুর্তে, মহাকাশযানটি একটি তারা-খসার মতো উজ্জ্বল হয়ে কোনো ক্ষতি ছাড়াই পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করবে।
যার দেহভস্ম পাঠানো হবে তার পরিবার ও বন্ধুরা অ্যাপল আইওএস বা গুগল অ্যান্ড্রয়েডের একটি অ্যাপের মাধ্যমে মহাকাশযানের গতি নজর রাখতে পারবেন।
এখন পর্যন্ত একশ’ জন এই প্রকল্পের জন্য নিবন্ধন করেছেন, প্রতি বুকিংয়ের মূল্য ২৪৯০ ডলার থেকে শুরু হয়।
কবে মহাকাশযান উৎক্ষেপণ করা হবে তা স্পেসএক্স-এর হাতে আর এ নিয়ে এখনও কোনো সময় ঠিক করা হয়নি বলে জানান সিভিট। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার ভ্যান্ডারবার্গ এয়ার ফোর্স বেইস থেকে এটি উৎক্ষেপণ করা হবে।