বিষয়টির সঙ্গে জড়িত এক সূত্র বিবিসিকে জানায়, তার পদত্যাগ “সম্পূর্ণ অনাকাঙ্ক্ষিত”।
ওই সুত্র থেকে আরও জানা যায় হতাশার কারণেই পদত্যাগ করছেন তিনি। নতুন প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা নিচ্ছে উবার। কিন্তু ওই ব্যক্তি প্রার্থীর তালিকায়ই ছিল না বলে জানানো হয়। আর এটি জোনস-এর হতাশার কারণ হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এ দিকে প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট রিকোড জানিয়েছে, প্রতিষ্ঠানে লিঙ্গ বৈষম্য ও যৌন নিপীড়ন চলতে থাকায় প্রতিষ্ঠান ছাড়ছেন জোনস।
রোববার এক বিবৃতিতে উবার-এর পক্ষ থেকে বলা হয়, “প্রতিষ্ঠানে ছয় মাস থাকার জন্য আমরা জেফকে ধন্যবাদ জানাতে চাই এবং তার মঙ্গল কামনা করি।”
হঠাৎ জোনস-এর পদত্যাগ প্রতিষ্ঠানের জন্য একটি ধাক্কা হতে পারে। কাউকে না জানিয়ে তার পদত্যাগে মনক্ষুণ্ণ হয়েছেন উবার-এর অন্যান্য নির্বাহী কর্মকর্তারা। এতে পেশাদার মনোভাবের অভাব ছিল বলে ধারণা করছেন তারা। তাৎক্ষণিকভাবে তার পদত্যাগ কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশেই সমালোচনার মুখে রয়েছে উবার। বেশ কিছু দেশে উবার বন্ধে আন্দোলনও হচ্ছে।
চলতি মাসের শুরুতেই প্রতিষ্ঠান প্রধান ট্রাভিস কালানিক স্বীকার করেন প্রতিষ্ঠানের নেতৃত্বে তার সহায়তা দরকার।
এবার জোনস-এর পদত্যাগের ব্যাপারে কালানিক এক ইমেইলে কর্মীদের জানান, “নতুন সিওও নেওয়ার পরিকল্পনা জানানোর পর জেফ কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে তিনি উবারে তার ভবিষ্যত দেখছেন না। এটা দুঃখজনক যে প্রেসের মাধ্যমে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আমি মনে করি জনগণের সামনে মন্তব্য করার আগে আপনাদের সবাইকে ইমেইল দেওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ।”
গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে উবার-এর নেতৃত্বে বড় পরিবর্তন আসতে পারে। দুইটি ভিন্ন সূত্রের বরাতে বিবিসি জানায়, নতুন সিওও যোগ দিলে কালানিক প্রতিষ্ঠান প্রধানের পদ থেকে সরে দাঁড়াতে পারেন।