ডেভিড লিন ব্রাউনিং নামের ও ব্যাক্তি ‘প্লেপেন’ সাইটটির কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রক ছিলেন। এই সাইটটি ডার্ক ওয়েবে হোস্ট করা হতো বলে জানিয়েছে বিবিসি।
শুধু কারাদণ্ডই নয়, কারামুক্তির পর থেকে সারা জীবন পর্যবেক্ষণের মধ্যেও থাকবেন ব্রাউনিং। প্লেপেন-এর পরিচালক হিসেবে কারাভোগ করতে যাওয়া তালিকায় তিনি দ্বিতীয়। এর আগে জানুয়ারিতে আরেক পরিচালককে একই সাজা দেওয়া হয়।
ব্রাউনিং প্লেপেন পরিচালক দলের একজন জ্যেষ্ঠ সদস্য বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে মার্কিন বিচার বিভাগ (ইউএস ডিপার্টমেন্ট অফ জাস্টিস)।
এই সাইট প্রতিদিন চালানো, এর আলোচনা পরিচালনা ও সদস্য তালিকা ব্যবস্থাপনা করার জন্য ব্রাউনিং দায়ী ছিলেন। ডিওজে জানায়, শুধু সদস্যদের জন্যই সীমাবদ্ধ এই সাইটটি পরিচয় গোপন রেখে ইন্টারনেট ব্যবহারের নেটওয়ার্ক ওনিয়ন রাউটার বা টর ব্রাউজার ব্যবহার করে ব্যবহার করা যেত।
মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই দীর্ঘমেয়াদী এক অপারেশন চালানোর পর ২০১৫ সালে সাইটটি বন্ধ হয়ে যায়। সে সময় এটি বন্ধ করার আগে এফবিআই ব্যবহারকারীদের ডেটা নেওয়ার উদ্দেশ্যে দুই সপ্তাহ সাইটটি পরিচালনা করে।
প্লেপেন-এর প্রায় দেড় লাখ সদস্য রয়েছে বলে ধারণা হয়, যারা শিশুদের যৌন নিপীড়নমূলক প্রচুর ছবি প্রকাশ করেছে।
ডিওজে জানায়, এফবিআই এই সাইটের সঙ্গে সম্পৃক্ত এমন ৫১ জনকে আটক করেছে ও নিপীড়নের শিকার হতে থাকা ৫৫ শিশুকে উদ্ধার করেছে।
ব্রাউনিংয়ের আরেক সহকর্মী স্টিভেন ডাব্লিউ চেইজ-কে ফ্লোরিডা থেকে আটক করেছে এফবিআই। তাকেও শীঘ্রই সাজা দেওয়া হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।