দেশটির মোটর ট্রান্সপোর্ট অথোরিটি (কেবিএ) জানায়, তারা এমন একটি সফটওয়্যার যাচাই করছে যা গাড়ির স্টিয়ারিং হুইলের বাঁক মাপতে পারে। এর মধ্যে পোর্শ এমন কোনো সফটওয়্যার ব্যবহার করেছে কিনা যার মাধ্যমে পরীক্ষার সময় সাধারণ অবস্থা থেকে কম কার্বন নির্গমণ দেখানো হয়, তা-ই যাচাই করা হচ্ছে।
এ নিয়ে মন্তব্যের জন্য তাৎক্ষণিকভাবে পোর্শ-এর সঙ্গে যোগাযোগ সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
এরই মধ্যে কেবিএ ফোকসভাগেনের আউডি ব্র্যান্ড নিয়ে আরেকটি তদন্ত চালাচ্ছে। আউডি থেকেই পোর্শ-এর জন্য ইঞ্জিন সরবরাহ করা হয়।
২০১৫ সালে ফোকসভাগেন গাড়ির ধোঁয়া নির্গমণের ফলে পরিবেশ দূষণের মাত্রা পরীক্ষায় জালিয়াতি করতে বিশেষ সফটওয়্যার ‘ব্যবহার’ করার কথা স্বীকার করে। ২০০৯ সাল থেকে বিক্রি করা এ সব গাড়ি পরিবেশ দূষণের অনুমোদিত মাত্রার তুলনায় মাত্র আড়াই শতাংশ দেখায়।
ত্রুটিওয়ালা এ সব গাড়ি ফেরত নিতে ১০০৩.৩ কোটি মার্কিন ডলার খরচ করবে এই প্রতিষ্ঠান। তবে, এর বাইরে প্রতিষ্ঠানটি আরও ৮৫ হাজার ৩.০-লিটার পোর্শ, আউডি এবং ফোকসভাগেন গাড়ি পুনরায় কিনবে কি না তা নিয়ে এখনও আলোচনা চলছে। এই গাড়িগুলোও ধোঁয়া নির্গমণের মার্কিন স্ট্যান্ডার্ড পার করেছে বলে জানানো হয়।