ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড মিরর জানিয়েছে, কক্ষপথে মহাকাশ ল্যাবরেটরিতে এক মাস অবস্থান করবেন এই দুই নভোচারী। ২০২২ সালের দিকে মহাকাশে স্থায়ী মানব স্টেশন স্থাপনের পরিকল্পনার অংশ হিসেবে এই মিশনটি পরিচালনা করেছে দেশটি।
সেপ্টেম্বরে মহাকাশে প্রেরণ করা 'টিয়াংগং ২' অথবা 'হেভেনলি প্যালেস ২' নামের ল্যাবরেটরিতে গিয়ে থামবেন দুই নভোচারী। চীনা নভোচারীদের এটিই হবে দীর্ঘতম মহাকাশ যাত্রা।
মহাকাশে যাত্রাকারী এই দুই নভোচারী হলেন জিং হাইপেং এবং চেং ডং। বেইজিং অ্যারোস্পেস কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সেন্টার-এর পক্ষ থেকে জানানো হয় মানুষবাহী 'শেনজু ১১' মহাকাশযানটি ঠিকভাবেই উৎক্ষেপিত হয়েছে এবং সেটি আগে থেকে বাছাই করা কক্ষপথেই পৌছেঁছে। আর দুই নভোচারীও ভালো অবস্থায় আছেন।
শেনজু ১১-এর এই মিশনকে "পুরোপুরি সফল" হিসেবে ঘোষণা করেছেন এই মিশনের প্রধান জেনারেল জ্যাং ইউশিয়া।
শেনজু ১১ জিংয়ের জন্য তৃতীয় মহাকাশযাত্রা। এই মিশনে তিনি নেতৃত্ব দিচ্ছেন এবং তার ৫০তম জন্মদিন উদযাপন করবেন কক্ষপথে।
এর আগে ২০১৩ সালে একটি মিশনে চীনা নভোচারী কক্ষপথে ১৫ দিন ছিলেন। ২০১৮ সালের দিকে মহাকাশ স্টেশনের "মূল কাঠামো" উন্মোচনের পরিকল্পনা রয়েছে দেশটির। শেনজু ১১-এর সফলতায় মহাকাশ গবেষণায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং রাশিয়ার থেকে কিছুটা এগিয়েই থাকবে চীন।