তার লেখা নতুন বই 'কেয়স মাংকিজ'-এ তিনি ওয়াল স্ট্রিট থেকে প্রযুক্তি বিশ্বে তার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করতে গিয়ে এ কথা বলেন, জানিয়েছে ব্যবসা-বাণিজ্যবিষয়ক মার্কিন সাইট বিজনেস ইনসাইডার।
স্যান ফ্রানসিসকোতে এক বইপড়া অনুষ্ঠানের পর প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি বলেন, "ফেইসবুকে সে সময় কাজ করাটা স্টার্টআপে থাকার চেয়েও বেশি চাপের ছিল। স্টার্টআপের একবার টাকা তুলে এক বছর ধরে কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া যায়। আর ফেইসবুকে প্রতি সপ্তাহেই টাকা তুলতে হয়। প্রতি সপ্তাহেই উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের কাছে আমার প্রকল্পটির যোগ্যতা নিয়ে দেনদরবার করতে হত। আর তাতে ব্যর্থ হলে প্রকল্প বন্ধ হয়ে যেত, যা খুবই উদ্বেগজনক ছিল।"
মার্টিনেজ তার বইয়ে ফেইসবুকের অস্থিতিশীল সময়ে প্রতিষ্ঠানটির বিজ্ঞাপন বিভাগে কর্মরত থাকার নানা চড়াই-উৎরাইয়ের কথা বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, "ব্যবস্থাপনা নীতি থেকে এটি স্পষ্ট ছিল যে আমাদের কাজ ছিল এমন কোনো যুগান্তকারী পণ্য খুঁজে বের করা, যা ফেইসবুকের ভাগ্য পুরোপুরি বদলে যাবে। তবে ফেইসবুকের বিশাল আয় বিবেচনায় কোনো পণ্যের মাধ্যমে ইনকাম স্টেইটমেন্টে আঁচড় ফেলা খুবই কঠিন ছিল।"
এমনকি দুই কোটি ডলার আয় করতে সক্ষম এমন কোনো পরিকল্পনার ব্যাপারেও খুব একটা উদ্দীপনা লক্ষ্য করা যেত না বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, "স্টার্টআপের জন্য তা খুবই অসাধারণ একটি অংক হতে পারত, কারণ তাতে কোনো পণ্যের জন্য ব্যবহারকারীর সংখ্যা পাঁচ কোটিতে দাঁড়াত। তবে বার্ষিক দুইশ'কোটি আয়ের বিবেচনায় এর জন্য আঙ্গুল নাড়ানোটাও বেশি পরিশ্রম বলে বিবেচিত হতো।"
মার্টিনেজ ২০১১ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত প্রায় দুই বছর স্বপ্রতিষ্ঠিত স্টার্টআপ নিয়ে কাজ করেন। পরবর্তীতে তিনি প্রতিষ্ঠানটি মাইক্রোব্লগিং সাইট টুইটার-এর কাছে বিক্রি করে দেন এবং নিজে ফেইসবুকে যোগ দেন।