'সারছে' ওজোন স্তরের ক্ষত

ভৌগলিক স্থান অনুযায়ী আটলান্টিক মহাসাগরের এলাকায় বায়ুমণ্ডল স্তরের ওজোন স্তরের গর্ত ছোট হয়ে আসছে। স্তরের কোনো স্থানে ওজোন গ্যাস যখন হ্রাস পেতে থাকে তখন এই গর্তটি তৈরি হয়।

রিয়াদ মোর্শেদবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 July 2016, 12:50 PM
Updated : 4 July 2016, 12:50 PM

গবেষকরা এই খবরকে আবহাওয়ার জন্য একটি 'ভাল খবর' হিসেবে সংকেত দিচ্ছেন, জানিয়েছে জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়েচে ভ্যালে। এই গবেষণায় দাবি করা হয়, ওজোন গ্যাস-এর এই উন্নতি হয়েছে সিএফসি কমে যাওয়ার কারণে। দূষণকারী এই জৈব যৌগ হচ্ছে ক্লোরোফ্লোরোকার্বন অর্থাৎ সিএফসি, যেখানে কার্বন, ফ্লোরিন এবং ক্লোরিন বিদ্যমান থাকে।

ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি (এমআইটি)-এর গবেষকরা জানিয়েছেন, গবেষণায় পাওয়া গেছে অ্যান্টার্কটিকা-এর ওজোন হোল অবশেষে উপশম হওয়া শুরু করেছে। বিবরণীতে তারা জানান, ২০০০ সাল থেকে গর্তটি প্রায় ৪০ লাখ বর্গ কিলোমিটার ছোট হয়েছে।

এই গবেষণার প্রধান এবং এমআইটি-এর বায়ুমণ্ডলীয় রসায়নবিদ সুসান সোলোমন সায়েন্স ম্যাগাজিন-কে বলেন, “এটি একটি বড় বিস্ময়।" তিনি আরও বলেন, “আমি চিন্তা করিনি যে এটি এত আগে শুরু হবে।"

গবেষণাটি দাবি করছে, ওজোন গ্যাস-এর পূর্বের অবস্থায় ফিরে আসা শুরু হয়েছে সিএফসি হ্রাস পাওয়ার কারণে। এই সিএফসি এক সময় ব্যবহার হত রেফ্রিজেটর, ড্রাই ক্লিনিং, হেয়ার স্প্রে এবং অন্যান্য অ্যারোসলে। ১৯৮৭ সালের মন্ট্রিয়াল প্রোটোকল নামের সম্মেলনে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন, জাতিসংঘ অন্তর্ভুক্ত দেশসহ আরও কিছু দেশ সিএফসি ওজোন গ্যাস-এর ক্ষতি ঠেকাতে সিএফসি সম্পূর্নভাবে নিষিদ্ধ করার চুক্তি করে।