ফায়ারআই-বাংলাদেশ ব্যাংক তদন্ত চুক্তির ইতি

মার্কিন সাইবার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান ফায়ারআই-এর সঙ্গে চুক্তির সমাপ্তি টেনেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। চলতি বছর ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে সাইবার জালিয়াতির মাধ্যমে আট কোটি ১০ লাখ ডলার হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনায় তদন্ত করতে এই চুক্তি করা হয়েছিল।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 June 2016, 12:47 PM
Updated : 27 June 2016, 12:47 PM

এই চুক্তি বর্ধিত করার প্রস্তাব ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যাংকটির এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা, খবর রয়টার্স-এর।

বাংলাদেশ ব্যাংকের কম্পিউটার সিস্টেম লঙ্ঘনের মাধ্যমে নিউ ইয়র্ক-এর ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকে থাকা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট থেকে হ্যাকাররা এই অর্থ হাতিয়ে নেয়। এর চার মাস পার হয়ে গেলেও, অপরাধীদের শনাক্তকরণে বাংলাদেশ আর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তদন্ত চলছেই।

'ইতিহাসের সবচেয়ে বড়' এই সাইবার জালিয়াতির তদন্ত কার্যক্রম শেষ করার লক্ষ্যে ফায়ারআই-এর পক্ষ থেকে আরও ৫৭০ ঘণ্টা বাড়তি সময় চাওয়া হয়। এ খবর প্রকাশের আগের সপ্তাহে বাংলাদেশ ব্যাংকের এক বৈঠকে এই চুক্তি বর্ধিত না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, বাংলাদেশ ব্যাংক পরিচালক জামালউদ্দিন আহমেদ রয়টার্স-কে এ কথা জানান।

তিনি বলেন, "সর্বসম্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।" কেন্দ্রীয় ব্যাংক তাদের কম্পিউটার সিস্টেম-এর নিরাপত্তা বাড়াতে নিজেরাই নিজেদের পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

নাম প্রকাশ না করা ব্যাংকের সূত্রের বরাতে রয়টার্স জানায়, তদন্তকারী প্রতিষ্ঠানের তদন্তকার্যের জন্য উচ্চমূল্য চাওয়া, এই চুক্তির ইতি টানার একটি কারণ। সাতশ' ঘণ্টার কাজের জন্য প্রতিষ্ঠানটিকে দুই লাখ ৮০ হাজার ডলার পরিশোধ করা হয় বলেও জানা যায়।

প্রতিষ্ঠানটির একজন মুখপাত্র জানান, তারা বাংলাদেশ ব্যাংক আর বৈশ্বিক আর্থিক সম্প্রদায়-কে এই হামলা নিয়ে বাড়তি তথ্য সরবরাহ করেছেন। তিনি বলেন, "আমরা আমাদের অতীতের ঘনিষ্ঠ যোগসূত্রতার আলোকে আইন-শৃংখলা প্রণয়নকারী সংস্থা আর এই খাতে আমাদের সমর্থন যুগিয়ে যাব।" প্রতিটি মামলার তদন্তের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানটির চাওয়া মূল্য আর সময়ের পরিমাণ 'অনন্য' ছিল বলেও যোগ করেন তিনি।

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রের মাধ্যমে জানা যায়, ব্যাংকটি নতুন নির্দেশের শর্তাবলী ঠিক করার পর সাইবার নিরাপত্তা নিয়ে পরামর্শের বাইরের বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারে। তবে, এ নিয়ে বৃহস্পতিবারের বৈঠকে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন আহমেদ।