জবসের অপছন্দের কিন্তু তার প্রয়াণের অ্যাপল জন্য বাস্তবতায় পরিণত হওয়া পণ্য আর বিষয় নিয়ে জানিয়েছে সিএনএন।
স্টাইলাস
৯ সেপ্টেম্বরের অ্যাপল ইভেন্টে ‘অ্যাপল পেন্সিল’ নামের স্টাইলাস উন্মোচনের ঘোষণার পর দর্শকদের প্রতিক্রিয়া দেখেই বোঝা যায় অ্যাপল ডিভাইসে স্টাইলাস ব্যবহার কতটা ‘বিস্ময়কর’ ছিল।
সিএনএন জানিয়েছে, ১৯৯৭ সালে অ্যাপলে ফিরে এসে স্টিভ জবস প্রথম যে কাজটি করেছিলেন সেটা হল ‘নিউটন’ নামের একটি ডিভাইস নিয়ে গবেষণার কাজ বন্ধ করে দেওয়া। বর্তমানের ট্যাবলেট কম্পিউটারের সঙ্গে বেশ মিল ছিল নিউটনের। কিন্তু জবসের ‘চক্ষুশূল’ স্টাইলাস নির্ভর হওয়ার আলোর মুখ দেখেনি নিউটন।
২০০৭ সালে প্রথমবারের মত আইফোন উন্মোচন অনুষ্ঠানে জবস সোজা কথায় বলেছিলেন, “ইয়াক! নোবডি ওয়ান্টস এ স্টাইলাস।”
সাবেক অ্যাপল সিইওর চোখে স্টাইলাস বরাবর উপেক্ষিত থাকলেও বহুল আলোচিত ‘আইপ্যাড প্রো’-তে তা ঠিকই রাখা হয়েছে। ১২.৯ ইঞ্চি আকারের আইপ্যাডটির জন্য তৈরি স্টাইলাসটির মূল্য ধরা হয়েছে ৯৯ ডলার।
ছোট ডিসপ্লের ট্যাবলেট
জবস ছোট ডিসপ্লে ট্যাবলেটের প্রতি তাঁর বিরক্তির কথা জানিয়েছিলেন ২০১০ সালেই।
সিএনএন জানিয়েছে, ভাল মানের ট্যাবলেট অ্যাপসের জন্য ডিসপ্লের আকার নূন্যতম ১০ ইঞ্চি হওয়া উচিত বলে মনে করতেন জবস। তবে জবসের মৃত্যুর এক বছর পরেই ছোট আকারের ‘আইপ্যাড মিনি’ বাজারে আনে অ্যাপল যা প্রতিষ্ঠানটির সবচেয়ে বেশি বিক্রি হওয়া ডিভাইসগুলোর মধ্যে একটি।
বড় আইফোন
স্টিভ জবস সবসময় ছোট আকারের আইফোন বানানোর পক্ষপাতী ছিলেন। ২০১০ সালে বড় আকারের ফোন বানানোর বিষয়ে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে ‘কেউই কিনবে না’ বলে উড়িয়ে দেন জবস।
জবসের মৃত্যুর পর তুলনামূলক বড় আকারের আইফোন ৫ বাজারজাত করে অ্যাপল। এরই ধারাবাহিকতায় বর্তমানে বড় আকারের আইফোন ৬এস এবং ৬ এস প্লাস বাজারে এনেছে প্রতিষ্ঠানটি।
এ ছাড়াও নতুন আইফোনে বেশ কিছু অ্যাপ ও ফিচার প্রয়াত স্টিভ জবসের পছন্দ হত না বলে জানিয়েছে সিএনএন।
জন সেবা
১৯৯৭ সালে অ্যাপলে ফিরে এসে প্রতিষ্ঠানটির বিভিন্ন জনসেবামূলক কার্যক্রম বন্ধ করে দেন জবস। অ্যাপলকে লাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলাই ছিল তার প্রধান লক্ষ্য।
ইউটু ভোকাল বনোর এইডস সংক্রান্ত গবেষণার জন্য পরিচালিত চ্যারিটি ‘রেড’-এ অ্যাপল নানাভাবে সহযোগিতা করলেও এতে জবসের ভূমিকা ছিল নিতান্তই গৌণ।
২০১১ সালে টিম কুক অ্যাপলের সিইও হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর জনসেবামূলক কাজে অ্যাপল পুনরায় অংশগ্রহন শুরু করে।