ঋণাত্মক মূলধনী হিসাবে লেনদেনের মেয়াদ ফের বৃদ্ধি

পুঁজিবাজারে ‘ঋণাত্মক মূলধনধারী’ বিনিয়োগ হিসাবে শেয়ার কেনাবেচার সময় ফের বাড়িয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 August 2017, 04:41 PM
Updated : 18 August 2017, 08:18 PM

প্রতি তিন মাস পর পর ‘প্রান্তিক প্রতিবেদন’ জমা দেওয়ার শর্তে সময় বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে বিএসইসি।

আগামী ১ অক্টোবর থেকে শুরু হয়ে পরের বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এ নির্দেশনা কার্যকর থাকবে বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে।

সেখানে বলা হয়- ব্রোকারেজ হাউজগুলোকে ঋণাত্মক মূলধনধারী (নেগেটিভ ইক্যুইটি) বিনিয়োগ হিসেবে শেয়ার কেনাবেচার প্রান্তিক প্রতিবেদন জমা দিতে হবে প্রতি তিন মাস পর পর।

সেইসঙ্গে তারা কীভাবে নেগেটিভ ইক্যুইটি কমিয়ে আনতে পারে- তার কর্মপরিকল্পনাও জমা দিতে হবে। প্রান্তিক শেষ হওয়ার প্রথম সপ্তাহের মধ্যে এ প্রতিবেদন বিএসইসিতে জমা দেবে ব্রোকারেজ হাউজগুলো।

প্রান্তিক প্রতিবেদন জমা দেওয়ার শর্তও একই সময় থেকে কার্যকর হবে জানিয়ে বিএসইসি জানিয়েছে, এক্ষেত্রে নেগেটিভ ইক্যুইটি হিসাবে লেনদেনে কোনো সমস্যা হবে না।

বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক সাইফুর রহমান বলেন, “আমরা শর্ত দিয়ে সময় বাড়িয়েছি। প্রতিষ্ঠানগুলো প্রতি তিন মাস পর পর শেয়ার কেনাবেচার প্রতিবেদন বিএসইসিতে জমা দেবে।”

বর্ধিত মেয়াদ কার্যকর হওয়ার আগেই প্রতিষ্ঠানগুলোকে আগামী প্রান্তিকের কর্মপরিকল্পনা জমা দিতে হবে জানিয়ে সাইফুর বলেন, প্রতিষ্ঠানগুলো প্রতিবেদন ও কর্মপরিকল্পনা প্রান্তিক শুরু হওয়ার প্রথম সপ্তাহে কমিশনে জমা দেবে।

এ বছরের ১৮ অগাস্ট ‘ঋণাত্মক মূলধনধারী’ বিনিয়োগ হিসাবে লেনদেনের সুযোগ শেষ হওয়ার কথা ছিল।

এর আগে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই), ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ডিবিএ) ও বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) প্রতিনিধিরা মার্জিন রুলসের সংশ্লিষ্ট ধারা শিথিল করে ফের সময় বাড়ানোর আবেদন করে।

বিএসইসির ১৯৯৯ সালের মার্জিন রুলস আইন অনুযায়ী কোন বিনিয়োগকারীর ডেবিট ব্যালেন্স ১৫০ শতাংশের নিচে নেমে গেলে ওই হিসাবে শেয়ার কেনাবেচা বন্ধ থাকার কথা। কিন্তু ২০১০ সালের ধস পরবর্তী বাজার পরিস্থিতি বিবেচনায় ধারাটির কার্যকারিতা কয়েক দফা স্থগিত করা হয়।

গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর মেয়াদ শেষ হওয়ার পর নতুন করে স্থগিতাদেশের জন্য বিএসইসির কাছে আবেদন করে ডিএসই।

এর প্রেক্ষিতে চলতি বছরের ৯ ফেব্রুয়ারি বিএসইসির কমিশন বৈঠকে ওই ধারার কার্যকারিতা ছয় মাস স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত হয়। ১৮ অগাস্ট এ মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল।