প্যারাগুয়ের কাছে টাইব্রেকারে হেরে কোপা আমেরিকার কোয়ার্টার-ফাইনাল থেকেই বিদায় নেওয়ার পর আরেকবার হতাশায় নিমজ্জিত ব্রাজিল। এরপর অত্যন্ত জীর্ণ সেই বিতর্কটাও আবার উঠেছে -হারানো ঐতিহ্য কিভাবে ফিরিয়ে আনা যায়।
Published : 29 Jun 2015, 08:07 PM
এক বছর আগে দেশের মাটিতে বিশ্বকাপের সেমি-ফাইনালে জার্মানির কাছে ৭-১ গোলে উড়ে যাওয়ার পর যেটা শুরু হয়েছিল, আবারও সেই ব্যবচ্ছেদ শুরু হয়েছে। পরামর্শ এসেছে ‘বিশৃঙ্খল’ ঘরোয়া ফুটবলটাকে নতুন করে সাজাতে।
সংবাদপত্রে কলাম লেখক জুকা কেফৌরি রোববার ফোলহা দে এস পাওলোতে লেখেন, “আবার পেনাল্টিতে বিদায় নেওয়া বাস্তবতা লুকাতে পারছে না।”
এরপর তিনি ব্রাজিলের ফুটবলের আসল সমস্যাটা তুলে ধরেন।
“আমাদের খেলোয়াড়ের অভাব, আমাদের একটি দলের অভাব, আমাদের একজন কোচের অভাব।”
ব্রাজিলের অনেক সমর্থকের মতো কেফৌরিও ব্রাজিল ফুটবল কনফেডারেশন (সিবিএফ) আর দুঙ্গাকেই দায় দিচ্ছেন।
প্যারাগুয়ের বিপক্ষে হেরে যাওয়ার পরও গত বিশ্বকাপ শেষে দ্বিতীয় মেয়াদের জন্য ব্রাজিলের দায়িত্ব নেওয়া দুঙ্গার পদ বিপদে নেই বলেই মনে হচ্ছে।
রক্ষণাত্মক ফুটবল আর ব্যক্তিগত নৈপুণ্যের অভাব থাকার পরও দেশের সর্বোচ্চ পর্যায়ের চাকরিতে কিছু বন্ধু পেয়ে গেছেন দুঙ্গা।
সিবিএফকে নিয়েও একই কথা বলা যায়। জার্মানির কাছে ৭-১ গোলের সেই হারের পর সংগঠনটির সমালোচনা হয়েছিল। তাদের বিরুদ্ধে মূল সমালোচনাটা ছিল এরকম-ব্রাজিলের ফুটবল যে পেছনের দিকে যাচ্ছে সেটা বুঝতে না পারা।
সমালোচকরা সামগ্রিকভাবে পরিবর্তন চেয়েছিল। এর মধ্যে ছিল ঘরোয়া ফুটবলের সূচিতে পরিবর্তন আনা, সিবিএফে নতুন মুখ নেওয়া এবং ক্লাব দ্বারা পরিচালিত স্বাধীন ফুটবল লিগ আয়োজন করা।
১৯৭০ বিশ্বকাপ জয়ী ব্রাজিল দলের সদস্য কিংবদন্তি তোস্তাওয়ের কাছে ব্রাজিলের সমস্যা এই প্রজন্মের খেলোয়াড়ে। এদের মধ্যে অতীতের খেলোয়াড়দের মতো অসাধারণ প্রতিভা নেই বলে মনে করেন তিনি।
দুঙ্গা প্যারাগুয়ের বিপক্ষে হারের দায় দেন ভাইরাসের ওপর। ম্যাচের আগে তার খেলোয়াড়রা ভাইরাস আক্রান্ত হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন বলে দাবি করেন তিনি। এই হারটা তার তরুণ দলের জন্য অক্টোবরে শুরু হতে যাওয়া বিশ্বকাপ বাছাইপর্বটা কঠিন করে দেবে বলেও উল্লেখ করেন দুঙ্গা।
ব্রাজিল এখনও পর্যন্ত কখনই বিশ্বকাপের মূল পর্বে যেতে ব্যর্থ হয়নি। কোপা আমেরিকার এই হার বাছাইপর্বের জন্য বড় এক শিক্ষা বলেই উল্লেখ করেন দুঙ্গা। এর সঙ্গে তিনি যোগ করেন-কোপা নয়, ব্রাজিলের আসল লক্ষ্য বিশ্বকাপের বাছাই।