ফিফার টাস্কফোর্স ২৩ ডিসেম্বর ফাইনাল আয়োজনের প্রস্তাব দিয়েছিল। কিন্তু ব্লাটার শুক্রবার বলেন, “১৮ ডিসেম্বরের মধ্যে আমাদের থামতে হবে।”
ক’দিন আগে ফিফা মহাসচিব জেরোমে ভালকে নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসকেই ‘একমাত্র সমাধান’ বলে জানিয়েছিলেন।
তবে এ সিদ্ধান্তই যে চূড়ান্ত, তাও নয়। কেননা, ২০ মার্চ কাতার বিশ্বকাপের সময়সূচি নিয়ে ফের বসবে ফিফা এবং আশা করা হচ্ছে, ওই বৈঠকেই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হবে।
২০১০ সালে ফিফার নির্বাহী কমিটির ভোটে কাতার ২০২২ বিশ্বকাপের আয়োজক নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই দেশটির অত্যধিক তাপমাত্রা চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
উত্তর গোলার্ধে শীতকালে বিশ্বকাপ আয়োজন করলে ইউরোপীয় লিগগুলোর সমস্যা হয় বলে সাধারণত গ্রীষ্মেই বিশ্বকাপ হয়। তবে গ্রীষ্মে কাতারের তাপমাত্রা অত্যধিক থাকে বলে সে সময় বিশ্বকাপ আয়োজনে আপত্তি জানায় অনেক দেশ।
পরে ২০১৩ সালের অক্টোবরে একটি টাস্ক ফোর্স গঠনের সিদ্ধান্ত নেয় আন্তর্জাতিক ফুটবল সংস্থা। বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত যাচাই বাছাই করে শেখ সালমান বিন ইব্রাহিম আল-খলিফার নেতৃত্বাধীন টাস্ক ফোর্স গ্রীষ্মের পরিবর্তে শীতে বিশ্বকাপ আয়োজনের জন্য সুপারিশ করে।
গ্রীষ্মে কাতারে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে যায়। আর নভেম্বর-ডিসেম্বরে ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি নামে। তাই এই সময়ে বিশ্বকাপ আয়োজনে টাস্ক ফোর্সের এই সুপারিশ আগামী ১৯-২০ মার্চে জুরিখে হতে যাওয়া ফিফার নির্বাহী সভায় পাশ হয়ে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
টাস্ক ফোর্স প্রধান ২০২২ সালের বিশ্বকাপের সময় প্রয়োজনে কিছুদিন কমিয়ে আনারও সুপারিশ করেন। ফিফা অবশ্য ইতোমধ্যে জানিয়ে দিয়েছে, ৩২ দলের ৬৪ ম্যাচের টুর্নামেন্টের আকার ছোট করার কোনো পরিকল্পনা তাদের নেই।
কাতার বিশ্বকাপের জন্য বিকল্প সময় হিসেবে মে মাস কিংবা জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিও আলোচনায় ছিল। কিন্তু জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতে টুর্নামেন্ট আয়োজন করলে শীতকালীন অলিম্পিকের সঙ্গে তা সাংঘর্ষিক হতো। আর কাতারে মে মাসেও অনেক তামপাত্রা থাকে বলে সে সময়টাও বিবেচনা করা হয়নি।