সেরি আর ম্যাচটি শনিবার ২-২ গোলে ড্র হয়েছে। আতালান্তার গোল দুটি করেন দুভান সাপাতা ও রুসলান মালিনোভস্কি।
দুইবার এগিয়ে গিয়েও জেতা হলো না দলটির। টানা নয় জয়ের পর পয়েন্ট হারাল আতালান্তা।
৩২ ম্যাচে ২৪ জয় আর চার ড্রয়ে ৭৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রয়েছে ইউভেন্তস। টানা তিন ম্যাচে হারা লাৎসিওর চেয়ে ৮ পয়েন্টে এগিয়ে গেছে দলটি। ৬৭ পয়েন্ট নিয়ে তিন নম্বরেই রয়েছে আতালান্তা।
শুরুতে সফরকারীদের চেপে ধরে ইউভেন্তুস। প্রাথমিক ঝাপটা সামলে স্বাগতিকদের রক্ষণ কাঁপিয়ে দেয় জারন পিয়েরো গাসপেরিনির দল। বলের নিয়ন্ত্রণ ধরে রেখে আক্রমণাত্মক ফুটবলের সুফলটাও পায় দ্রুত। ষোড়শ মিনিটে এগিয়ে যায় আতালান্তা।
দারুণ টার্নে মাটাইস ডি লিখটকে এড়িয়ে আলেহান্দ্রো গোমেস বল বাড়ান দুভান সাপাতাকে। রদ্রিগো বেন্তানকুরকে এড়িয়ে স্লাইড করে ১২ গজ দূর থেকে জাল খুঁজে নেন কলম্বিয়ান ফরোয়ার্ড।
৩২তম মিনিটে টিমোথি কাস্তাগনের ক্রসে একটুর জন্য মাথা ছোঁয়াতে পারেননি সাপাতা। পরের মিনিটে ডান পায়ে দারুণ দক্ষতায় বলের নিয়ন্ত্রণ নেন দিবালা। তার বাম পায়ের ভলি এক জনের গায়ে লেগে দূরের পোস্ট ঘেঁষে বাইরে চলে যায়।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে সমতা ফেরায় ইউভেন্তুস। দিবালার ক্রস মার্টেন ডে রনের হাতে লাগলে পেনাল্টি পায় স্বাগতিকরা। ৫৫তম মিনিটে সফল স্পট কিকে আসরে নিজের ২৭তম গোলটি করেন রোনালদো।
৭৪তম মিনিটে মালিনোভস্কির শট একটুর জন্য লক্ষ্যে থাকেনি। খানিক পর বিপজ্জনক জায়গা থেকেও খুব ভালো একটি সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি রোনালদো।
শেষের নাটকীয়তা উত্তেজনা ছড়ায় ম্যাচে। ৮১তম মিনিটে লুইস মুরিয়েলের কাছ থেকে বল পেয়ে বুলেট গতির শটে জাল খুঁজে নেন ইউক্রেনের মিডফিল্ডার মালিনোভস্কি।
মুরিয়েলের হ্যান্ডবলের জন্যই পরে পেনাল্টি পায় ইউভেন্তুস। ৯০তম মিনিটে আরেকটি সফল স্পট কিকে দলকে আবার সমতায় ফেরান রোনালদো। আসরে পেনাল্টি থেকে এটি তার একাদশ গোল। সর্বোচ্চ ২৯ গোল করা চিরো ইম্মোবিলের চেয়ে এখন কেবল ১ গোলে পিছিয়ে এই পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড।
দিনের অন্য ম্যাচে সাস্সুয়োলোর বিপক্ষে ২-১ গোলে হেরেছে লাৎসিও।