লিগে আর্সেনালের টানা পঞ্চম জয়ে বার্নলির কাছে ১৯৭৪ সালের পর লিগে আর না হারার গর্ব ধরে রাখল লন্ডনের ক্লাবটি। আর ১৯৯২-৯৩ মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগ চালুর পর এ নিয়ে পাঁচবারের মুখোমুখি লড়াইয়ে আর্সেনালের জয় হলো চারটি; অন্যটি ড্র।
রোববার প্রতিপক্ষের মাঠে শুরুতেই এগিয়ে যেতে পারতো আর্সেনাল। কিন্তু চতুর্থ মিনিটে আলেক্সিস সানচেসের গোলমুখী শট সতীর্থ থিও ওয়ালকটের পায়ে লেগে দিক পাল্টে পোস্ট ঘেষে বাইরে চলে যায়। সপ্তদশ মিনিটে ওয়ালকট নিজেই সুযোগ নষ্ট করেন; ১২ গজ দূর থেকে তার প্রচেষ্টা একটুর জন্যে লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।
প্রথমার্ধের সেরা সুযোগটা পেয়েছিল এক মৌসুম পর প্রিমিয়ার লিগে ফেরা বার্নলি। কিন্তু ৪০তম মিনিটে ম্যাট লোটোনের ক্রসে বক্সের মধ্যে থাকা স্যাম ভোকসের হেড পোস্টের অনেক বাইরে দিয়ে বেরিয়ে গেলে গোলশূন্য সমতায় শেষ হয় প্রথমার্ধ।
৬১তম মিনিটে এগিয়ে যাওয়ার দারুণ সুযোগ পেয়েছিল স্বাগতিকরা। তবে আইসল্যান্ডের মিডফিল্ডার ইয়োহান বার্গের হেড ঝাঁপিয়ে পড়ে ঠেকান গোলরক্ষক পেতর চেক।
৭২তম মিনিটে লিগে চার গোল করা সানচেসের জোরালো ভলি পোস্ট ঘেঁষে বেরিয়ে গেলে হতাশ হতে হয় আর্সেনাল সমর্থকদের। একটু পর মাইকেল কিনের হেড পোস্টে না লাগলে ২০০৮ সালের পর আর্সেনালকে নিজেদের মাঠে হারানোর উৎসব করতে পারত বার্নলি। সেবার অবশ্য লিগে নয়, লিগ কাপে আর্সেনালকে হারিয়েছিল দলটি।
শেষের বাঁশি বাজার আগ মুহূর্তে গোলের দেখা পায় আর্সেনাল। ডান দিক থেকে ওজিলের নেওয়া কর্নারে ওয়ালকট হেড করার পর অ্যালেক্স অক্সলেইড চেম্বারলেইনের শটে বল সামনেই থাকা লরাঁ কোসিয়েনলির কনুইয়ে লেগে জালে জড়ায়।
সাউথ্যাম্পটন ও বর্তমান চ্যাম্পিয়ন লেস্টার সিটির মধ্যে ম্যাচটি গোলশূন্য ড্র হয়েছে। ৮ পয়েন্ট নিয়ে দ্বাদশ স্থানে আছে লেস্টার। ১ পয়েন্ট বেশি নিয়ে দশম স্থানে সাউথ্যাম্পটন।
দিনের প্রথম ম্যাচে ঘরের মাঠে স্টোক সিটির সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করেছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। ৭ ম্যাচে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে ষষ্ঠ স্থানে আছে জোসে মরিনিয়োর দল।