গোলশূন্য প্রথমার্ধের পর দ্বিতীয়ার্ধে একসঙ্গে জ্বলে উঠলেন আবাহনীর লি টাক, সানডে চিজোবা, জুয়েল রানা। ৬-০ ব্যবধানে শেখ জামালকে গুঁড়িয়ে স্বাধীনতা কাপের ফাইনালে উঠল দ্রাগো মামিচের দল।
Published : 03 May 2016, 09:39 PM
২০১১ সালের সুপার কাপের ফাইনালে খেলার পর পর এই প্রথম কোনো আসরের শিরোপা নির্ধারণী মঞ্চে উঠল আবাহনী। সানডে চিজোবার চার গোলের পাশাপাশি আরেক বিদেশি লি টাক করেন জোড়া গোল।
বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার প্রথমার্ধের প্রথম ভালো সুযোগটি তৈরি করে আবাহনী। সপ্তম মিনিটে ইংল্যান্ডের মিডফিল্ডার লি টাকের বাড়ানো বল বক্সের মধ্যে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে তালগোল পাকিয়ে সুবর্ণ সুযোগটি নষ্ট করেন সানডে।
অষ্টাদশ মিনিটে শেখ জামালের ল্যান্ডিং ডারবোর ফ্রি-কিক পোস্টের অনেক দূর দিয়ে বেরিয়ে যায়। পরের মিনিয়ে আবাহনীর ফয়সাল মাহমুদের শটও লক্ষ্যে থাকেনি।
৩৬তম মিনিটে প্রতিপক্ষ গোলরক্ষকের ভুলের সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন শেখ জামালের ওয়েডসেন আনসেলমে। পোস্ট ছেড়ে বেরিয়ে আসা সুলতান আহমেদ সাকিলকে একা পেয়েও লক্ষ্যভেদে ব্যর্থ হাইতির এই ফরোয়ার্ড।
পরের মিনিটে এগিয়ে যাওয়ার আরেকটি সুযোগ নষ্ট হয় আবাহনীর। ম্যাচজুড়ে বিদেশি ফরোয়ার্ডদের আক্রমণ সাজিয়ে দেওয়া জুয়েলের নিখুঁত পাস নিয়ন্ত্রণে নিয়েও ঠিকঠাক শট নিতে পারেননি সেনেগালের ফরোয়ার্ড কামারা সাররা।
গোলশূন্য প্রথমার্ধের পর দ্বিতীয়ার্ধে শেখ জামালকে চেপে ধরে আবাহনী। ৪৭তম মিনিটে কামারা ও সানডে নিজেদের মধ্যে বল দেওয়া নেওয়া করতে করতে বক্সের মধ্যে ঢুকে পড়েন। কামারাকে কেষ্ট কুমার ফাউল করলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি; স্পট কিকে মাজহারুল ইসলাম হিমেলকে প্রতিরোধের কোনো সুযোগই দেননি লি টাক।
প্রতিপক্ষের তিন বিদেশি ফরোয়ার্ডকে কড়া পাহারায় রাখা আবাহনী ৫৮তম মিনিটে স্কোরলাইন ৩-০ করে নিতে পারত। কিন্তু লি টাক ও জুয়েলের মিলিত আক্রমণ থেকে সানডের কোনাকুনি শট গোলরক্ষকের হাত হয়ে পোস্টে লেগে প্রতিহত হয়।
তিন মিনিট পর ঠিকই স্কোরলাইন ৩-০ করে নেয় আবাহনী। প্রতিআক্রমণ থেকে লি টাকের লম্বা করে বাড়ানো বল নিয়ে বক্সে ঢুকে কোনাকুনি শটে হিমেলকে পরাস্ত করেন সানডে। ৬৪তম মিনিটে ঘরোয়া লিগের সেরাদের ম্যাচে ফেরার আশা অনেকটাই শেষ করে দেয় সানডের দ্বিতীয় গোলটি; ডান দিক থেকে বাঁ পায়ের নিখুঁত শটে লক্ষ্যভেদ করেন তিনি।
বাকিটা সময়ও শেখ জামালকে চাপে রাখে আবাহনী। ৮১তম মিনিটে জুয়েলের বাড়ানো বল শেষ মুহূর্তের হেডে ঠিকানা পৌঁছে দিয়ে হ্যাটট্রিকের আনন্দে ভাসেন সানডে।
চলতি স্বাধীনতা কাপে এটি পঞ্চম হ্যাটট্রিক। ফিকরু জেইদা, ওয়েডসেন আনসেলমে, আহমেদ কোলো মুসা, এলিটা কিংসলে আগের চার হ্যাটট্রিক করেন।
৮৩তম মিনিটে শেখ জামালের কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকে দেন সানডে। বাঁ দিক থেকে বাঁকানো শটে স্কোরলাইন ৬-০ করে দেন নাইজেরিয়ার এই ফরোয়ার্ড। তাতে অপরাজিত থেকে সেরা চারে আসা শেখ জামাল বড় হার নিয়ে মাঠ ছাড়ে।