শনিবার রাতে ২-০ গোলের এই জয়ে লক্ষ্যভেদ করেন ইভান রাকিতিচ ও লুইস সুয়ারেস। দুটি গোলেই দারুণ অবদান ছিল লিওনেল মেসির।
রিয়াল সোসিয়েদাদকে কষ্টে ১-০ হারিয়ে শীর্ষে উঠেছিল রিয়াল। নগর প্রতিদ্বন্দ্বীদের দুই ঘণ্টা পরই পেছনে ফেলতে রায়ো ভায়েকানোকেও একমাত্র গোলে হারায় আতলেতিকো। শিরোপা লড়াইয়ে মাদ্রিদের এই দুই প্রতিপক্ষে পেছনে ফেলতে বার্সেলোনাকেও ভুগতে হয়েছে, বিশেষ করে ম্যাচের প্রথমার্ধে।
বার্সেলোনা প্রথম গোলে শট নিতে পারে ২৯তম মিনিটে। এক ডিফেন্ডারকে ফাঁকি দিয়ে নেওয়া নেইমারের শট ঠেকান গোলরক্ষক আন্তোনিও আদান।
বিরতির পর পরই সুবর্ণ একটি সুযোগ নষ্ট করেন সুয়ারেস। নেইমারের বাড়ানো বল পেয়ে খুব কাছ নেওয়া উরুগুয়ের এই স্ট্রাইকারের শট পোস্টের বাইরে দিয়ে যায়।
দ্বিতীয়ার্ধের পাঁচ মিনিটের মধ্যে অবশ্য বেতিসের ভুলে এগিয়ে যায় বার্সেলোনা। মেসি উঁচু করে ডি-বক্সে বল বাড়িয়েছিলেন। গোলরক্ষক এগিয়ে এসেছিলেন বল ধরতে, বাইসাইকেল কিকে তা বিপদমুক্ত করার চেষ্টা করেছিলেন ডিফেন্ডার গেরমান পেজ্জেয়াও। ভুল বোঝাবুঝিতে কেউ বল পাননি। বল পেয়ে খালি জালে পাঠিয়ে দেন ক্রোয়েশিয়ার মিডফিল্ডার রাকিতিচ।
৭৪তম মিনিটে আবারও সুয়ারেসের সুযোগ নষ্ট। মেসির বাড়ানো বল পেয়ে ১০ গজ দূর থেকেও গোলরক্ষক বরাবর শট নেন তিনি। কে বলবে গত দুই ম্যাচে আট গোল করেছেন তারকা এই স্ট্রাইকার।
লা লিগার আর মাত্র দুটি রাউন্ড বাকি থাকতে ৮৫ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে বার্সেলোনা। মুখোমুখি লড়াইয়ে পিছিয়ে থাকায় সমান পয়েন্ট নিয়েও দ্বিতীয় স্থানে আছে আতলেতিকো। আর তৃতীয় স্থানে থাকা রিয়ালের পয়েন্ট ৮৪।
আগের রাউন্ডেও একই ভাবে পালা বদল শেষে শীর্ষে উঠেছিল বার্সেলোনা। লা লিগার শেষ দিকে তাই দারুণ জমজমাট শিরোপার লড়াই। তবে বার্সেলোনা আগামী দুই ম্যাচে হোঁচট না খেলেই শিরোপা ধরে রাখবে।