মাতার নৈপুণ্যে ম্যান ইউর প্রথম জয়

হুয়ান মাতার নৈপুণ্যে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের চলতি আসরে প্রথম জয় পেয়েছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। স্পেনের এই ফরোয়ার্ড নিজে একটি গোল করার পাশাপাশি দলের জয় নিশ্চিত করা ক্রিস স্মলিংয়ের গোলেও অবদান রাখেন।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 Sept 2015, 09:34 PM
Updated : 30 Sept 2015, 09:45 PM

বুধবার রাতে ভলফসবুর্গের বিপক্ষে ‘বি’ গ্রুপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ইউনাইটেডের জয়টি ২-১ ব্যবধানের। নিজেদের প্রথম ম্যাচে পিএসভি আইন্দহোভেনের মাঠ থেকে ২-১ গোলের হার নিয়ে ফিরেছিল লুই ফন খালের শিষ্যরা।

অন্যদিকে সিএসকেএ মস্কোকে ১-০ গোলে হারিয়ে গ্রুপ পর্ব শুরু করা ভলফসবুর্গ প্রথম হারের তেতো স্বাদ পেলো।

গ্রুপের অপর ম্যাচে নিজেদের মাঠে আইন্দহোভেনকে ৩-২ গোলে হারিয়েছে রাশিয়ার দল মস্কো। এটি মস্কোর প্রথম জয় এবং আইন্দহোভেনের প্রথম হার।

‘বি’ গ্রুপের চার দলের পয়েন্ট তিন করে; গোল পার্থক্যে যথাক্রমে আইন্দহোভেন শীর্ষে, ইউনাইটেড দ্বিতীয়, ভলফসবুর্গ তৃতীয় ও মস্কো চতুর্থ।

ওল্ড ট্র্যাফোর্ডের স্বাগতিক সমর্থকে ঠাসা গ্যালারিকে স্তব্ধ করে দিয়ে চতুর্থ মিনিটে এগিয়ে যায় ভলফসবুর্গ। ম্যাক্স ক্রুসের বুদ্ধিদীপ্ত পাস বক্সের ভেতরে পেয়ে যান ফাঁকায় থাকা ড্যানিয়েল ক্যালিগুরি; ইউনাইটেড গোলরক্ষক দাভিদ দি হেয়াকে পরাস্ত করতে কোনো সমস্যাই হয়নি তার।

পিছিয়ে পড়া ইউনাইটেড প্রথমার্ধের বাকিটা সময় ভলফসবুর্গের রক্ষণে চাপ তৈরি রাখে। তবে মাতা, মেম্পিস ডিপাইদের প্রচেষ্টা ঠিকানা খুঁজে না পাওয়ায় বারবার হতাশ হতে হচ্ছিল স্বাগতিকদের।

তিনটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতা ইউনাইটেডকে ৩৪তম মিনিটে সমতায় ফেরার স্বস্তি এনে দেন মাতা। বক্সের মধ্যে স্পেনের এই ফরোয়ার্ডের শট ক্যালিগুরি হাত দিয়ে আটকালে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। সমতা ফেরানোর সুবরণ সুযোগ কাজে লাগাতে ভুল করেননি মাতা।

৫৩ তম মিনিটে মাতার অসাধারণ এক পাস থেকে লক্ষ্যভেদ করে ইউনাইটেডকে এগিয়ে নেন স্মলিং। উড়ে আসা বলে ব্যাক হিল করে বক্সের ভেতরে থাকা স্মলিংকে দেন মাতা; তা থেকেই স্বাগতিক সমর্থকদের উচ্ছ্বাসে ভাসান এই ইংলিশ ডিফেন্ডার।

শেষ দিকে বল পায়ে রাখাতেই মনোযোগী ছিল ইউনাইটেড। তারপরও ৭৭তম মিনিটে সমতায় ফেরার ভালো একটি সুযোগ পায় অতিথিরা; কিন্তু বক্সের বাইরে থেকে রিকার্দো রদ্রিগেজের বাঁকানো ফ্রি কিক পোস্টের বাইরে দিয়ে বেরিয়ে গেলে সুযোগটি নষ্ট হয়। পরে আর অতিথিরা ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি।