দুই আর্জেন্টাইনে সিটির প্রথম জয়

উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের এবারের আসরে প্রথম জয়ের দেখা পেয়েছে ম্যানচেস্টার সিটি। দুই আর্জেন্টাইনের নৈপুণ্যে জার্মানির ক্লাব বরুসিয়া মনশেনগ্লাডবাখকে ২-১ গোলে হারিয়েছে মানুয়েল পেল্লেগ্রিনির দল।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 Sept 2015, 09:09 PM
Updated : 1 Oct 2015, 07:39 AM

প্রতিপক্ষের মাঠে সিটির দুই গোলদাতা নিকোলাস ওতামেন্দি ও সের্হিও আগুয়েরো।

চোটের কারণে অধিনায়ক ভিনসেন্ট কোম্পানিসহ গুরুত্বপূর্ণ ছয় জনকে ছাড়াই বুধবার রাতে খেলতে নামে সিটি। রক্ষণ, মাঝমাঠ ও আক্রমণভাগ-সব জায়গাতেই নিয়মিত খেলোয়াড়দের অনুপস্থিতিতে শুরু থেকেই কিছুটা ভুগতে দেখা যায় ইংলিশ ক্লাবটিকে।       

সাম্প্রতিক বাজে পারফরম্যান্সের কারণে সিটির খেলোয়াড়দের আত্মবিশ্বাসেও হয়তো কিছুটা ঘাটতি ছিল। তারপরও শুরুতেই এগিয়ে যাওয়ার দারুণ সুযোগ পেয়ে যায় তারা। কিন্তু আগুয়েরোর শট কোনোমতে ঠেকিয়ে দেন স্বাগতিক গোলরক্ষক।

দশম মিনিটে প্রতি-আক্রমণে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিল মনশেনগ্লাডবাখ। কিন্তু গোলরক্ষককে একা পেয়েও লক্ষ্যভ্রষ্ট শট নেন প্যাট্রিক হারম্যান।

এরপর কিছুটা ঢিমেতালে চলা খেলায় ২০তম মিনিটে সিটির ডিফেন্ডার ওতামেন্দি নিজেদের ডি বক্সে প্রতিপক্ষের রাফায়েলকে ফাউল করলে পেনাল্টি পায় মনশেনগ্লাডবাখ। 'স্পটকিক'-এ নিজেই শট নেন ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার, কিন্তু ডান দিকে লাফিয়ে পড়ে সেটা ঠেকিয়ে দেন গোলরক্ষক জো হার্ট।

৩৬তম মিনিটে আরেকটি সুযোগ নষ্ট করে মনশেনগ্লাডবাখ। রাফায়েলের এবারের প্রচেষ্টাও ঠেকিয়ে দিয়ে তাদের হতাশ করেন হার্ট।   

জার্মানিতে এর আগে আট ম্যাচের ছয়টিতেই হেরে যাওয়া সিটি দ্বিতীয়ার্ধেও তেমন সুবিধা করতে পারছিল না। ৪৬তম মিনিটে তো গোল খেয়েই বসেছিল তারা। এবারও দলকে বাঁচিয়ে দেন হার্ট।

এই অর্ধে একের পর এক আক্রমণ করে যাওয়া প্রতিপক্ষের সামনে বেশিক্ষণ অবশ্য বাধা হয়ে থাকতে পারেননি সিটি গোলরক্ষক হার্ট। ৫৪তম মিনিটে স্বদেশি জুলিয়ান কর্বের পাস ধরে ডি বক্সের মধ্যে থেকে ডান পায়ের শটে মনশেনগ্লাডবাখকে এগিয়ে দেন জার্মান মিডফিল্ডার লার্স স্টিন্ডি।

এগিয়ে যাওয়ার আনন্দ বেশিক্ষণ থাকেনি মনশেনগ্লাডবাখের। ৬৫তম মিনিটে সিটিকে সমতায় ফেরান ওতামেন্দি।

তার আগেই অবশ্য মার্টিন দেমিচেলিসের প্রচেষ্টায় গোল পেতে পারতো অতিথিরা। এই আর্জেন্টাইন ডিফেন্ডারের হাঁটু দিয়ে মারা বল গোললাইন পার হয়ে গেলেও রেফারি বাঁশি বাজাননি। তাতে সিটির সব খেলোয়াড় গোলের জন্য আবেদন করতে থাকে। এরই ফাঁকে ওতামেন্দির নেওয়া শট মনশেনগ্লাডবাখের এক জনের গায়ে লেগে জালে জড়ায়।

৮১তম মিনিটে দলকে এগিয়ে দেওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন আগুয়েরো। কিন্তু একটুর জন্যে আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকারের শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। তিন মিনিট পর রাহিম স্টার্লিংয়ের হেড পোস্টের সামান্য উপর দিয়ে চলে গেলে আবারও হতাশ হতে হয় তাদের।

৯০তম মিনিটে অবশেষে কাঙ্খিত জয়সূচক গোলের দেখা পায় সিটি। ডি বক্সের মধ্যে আগুয়েরোকে মনশেনগ্লাডবাখের ফাবিয়ান জনসন ফাউল করলে পেনাল্টি পায় সিটি। তা থেকেই স্কোরলাইন ২-১ করেন আগুয়েরো।

এই জয়ে দুই ম্যাচে ৩ পয়েন্ট নিয়ে 'ডি' গ্রুপের তৃতীয় স্থানে আছে সিটি।

গ্রুপের অন্য ম্যাচে সেভিয়াকে ২-০ গোলে হারিয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে ইউভেন্তুস। দ্বিতীয় স্থানে থাকা সেভিয়ার পয়েন্ট ৩।