উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচে দোনেৎস্কের বিপক্ষে পিএসজির ৩-০ ব্যবধানের জয়ে দুটি গোল করেন সের্জে ওঁইয়ে ও দাভিদ লুইস। অন্য গোলটি আত্মঘাতী।
প্রতিপক্ষের মাঠে সপ্তম মিনিটেই এগিয়ে যায় পিএসজি। ফরাসি চ্যাম্পিয়নদের এগিয়ে নেওয়া গোলে দারুণ অবদান ম্যাক্সওয়েলের। ব্রাজিলের এই ডিফেন্ডারের অসাধারণ এক ক্রসে লাফিয়ে উঠে দারুণ হেডে বল জালে পাঠান কোত দি ভোয়ার ডিফেন্ডার ওঁইয়ে।
১১ মিনিটে পর জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচকে গোলের সুবর্ণ সুযোগ তৈরি করে দেন ওঁইয়ে। এই লেফট ব্যাকের ক্রসে ফাঁকা জালেও বল পাঠাতে পারেননি ইব্রাহিমোভিচ।
২১তম মিনিটে অফসাইডের ফাঁদ ভেঙে ব্যবধান ২-০ করার দারুণ সুযোগ তৈরি করেন এদিনসন কাভানি। তবে এই ফরোয়ার্ডের বাড়ানো বল বিপদমুক্ত করে সেবার বেঁচে যান দোনেৎস্ক। তবে ইউক্রেনের দলটির স্বস্তি মোটেও দীর্ঘস্থায়ী হয়নি।
২৩তম মিনিটে স্বাগতিকদের রক্ষণের ভুল ব্যবধান ২-০ করে লুইস। আনহেল দি মারিয়ার বাড়ানো সাদাসিধে একটি বল লাফিয়েও দোনেৎস্কের দুই জন খেলোয়াড় হেড করতে পারেননি। তাই বল পেয়ে যান ব্রাজিলের ডিফেন্ডার লুইস, বল জালে জড়াতে কোনো সমস্যাই হয়নি তার।
পাঁচ মিনিট পর দোনেৎস্কের ডিফেন্ডারদের ভুলে দারুণ সুযোগ পান দি মারিয়া। গোলরক্ষককে একা পেয়েও বল লক্ষ্যে রাখতে পারেননি আর্জেন্টিনার এই ফরোয়ার্ড। তার লক্ষ্যভ্রষ্ট লবে ব্যবধান বাড়ানোর সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া হয় ফ্রান্সের দলটির।
ব্রাজিলের মিডফিল্ডার তাইসনের নৈপুণ্যে ব্যবধান কমানোর ভালো একটি সুযোগ পায় দোনেৎস্ক। কিন্তু মালিশেভের প্রচেষ্টাটি ব্যর্থ করে ৪৩তম মিনিটে দলকে রক্ষা করেন পিএসজির গোলরক্ষক।
৫৮তম মিনিটে আবার গোলরক্ষককে একা পান দি মারিয়া। প্রথমার্ধের মতো এবারও ব্যর্থ হন তিনি। এরপর আক্রমণের ধার বাড়ে ইউক্রেনের দলটির। ৭৪ ও ৭৮তম মিনিটে দুটি দারুণ সুযোগও তৈরি করে তারা। কিন্তু কাজে লাগাতে পারেনি কোনোটাই।
৭৯তম মিনিটে আলেক্স টিক্সেরিয়ার শট বারে লেগে ব্যর্থ হলে হতাশা আরও বাড়ে দোনেৎস্কের। ৮৭তম মিনিটে খুব কাছ থেকে ব্রাজিলের মিডফিল্ডার টিক্সেরিয়া বল জালে পাঠাতে ব্যর্থ হলে স্বাগতিকদের সব আশা শেষ হয়ে যায়।
৯০তম মিনিটে ইব্রাহিমোভিচের একটি প্রচেষ্টা ঠেকাতে গিয়ে উল্টো নিজেদের জালে বল পাঠিয়ে দেন দোনেৎস্কের গোলরক্ষক।
গ্রুপের অন্য ম্যাচে ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোর জোড়া গোলে মালমোকে ২-০ ববধানে হারিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। পয়েন্ট সমান ৬ হলেও তাদের চেয়ে পিছিয়ে দুই নম্বরে রয়েছে পিএসজি।