প্রায় দুইশ’ বছর আগে ভারতবর্ষে সন্ধান মেলা ‘নান্দুস’ পরিবারভুক্ত সপ্তম প্রজাতি ‘নান্দুস মেনি’ আবিষ্কারের খবরটি জুলাই মাসে আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান সাময়িকী জুলোজি অ্যান্ড ইকোলোজিতে প্রকাশিত হয়।
গাঢ় সবুজ বর্ণের মাঝে ছোপ ছোপ কালো দাগের মাছটি বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলে ভেদা মাছ নামেও পরিচিত।
ড. শাহাদাত বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বিভাগের গবেষণাগারে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব মিশিগানের মিউজিয়াম অব জুয়োলোজি, শিকাগোর ফিল্ড মিউজিয়াম অব ন্যাচারাল হিসট্রি, র্যাফেলস মিউজিয়াম অব বায়োডিভার্সিটি রিসার্চ এবং ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুরে রক্ষিত মেনি মাছের সঙ্গে তুলনামূলক বিশ্লেষণ করে নতুন এ প্রজাতিটি সনাক্ত করা হয়েছে।
তিনি জানান, মেনি মাছ পার্সিফরমাস বর্গের অন্তর্গত নান্দেদি গোত্রভুক্ত নান্দুস পরিবারের সদস্য। নান্দুস পরিবারের ছয়টি স্বীকৃত প্রজাতি রয়েছে। সদ্য আবিষ্কৃত সপ্তম প্রজাতিটির নাম নান্দুস মেনি।
গবেষণার ফলাফল আন্তর্জাতিক অ্যাকাডেমিক জার্নাল প্রকাশনা সংস্থা ‘টেইলর অ্যান্ড ফ্র্যান্সিস’ তাদের বিজ্ঞান সাময়িকী ‘জুয়োলোজি অ্যান্ড ইকোলোজি’র ২০১৩ সালের জুলাই সংখ্যায় ছাপিয়েছে।
`নিউ স্পেসিস অব লিফ ফিশ নান্দুস মেনি ফ্রম নোয়াখালী, বাংলাদেশ’ শিরোনামের প্রতিবেদনে নতুন প্রজাতিটি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য বর্ণনা করা হয়।
১৮২২ সালে ফ্রেন্সিস হেমিলটন ভারতবর্ষে নান্দুসের প্রথম প্রজাতিটি আবিষ্কার করেন। পরে বিভিন্ন সময়ে এ মাছের আরো পাঁচটি প্রজাতি আবিষ্কার করা হয়।
গবেষণার জন্য নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ উপজেলার জলাভূমি থেকে মাছটি সংগ্রহ করা হয়।
বৃহত্তর নোয়াখালী অঞ্চলের ১২৬টি মাছের প্রজাতি নিয়ে গবেষণার করা পর নান্দুস মেনি আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়েছে বলে জানান ড. শাহাদাত।
চবির ইনস্টিটিউট অব মেরিন সায়েন্সেস আন্ড ফিশারিজের সাবেক ছাত্র সুব্রত সরকার গবেষণা কাজে তাকে সহযোগিতা করেছেন।