বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার বলিহার ইউনিয়নের ফারাদপুর শ্মশানের প্রতিমা ভাংচুর বিষয়টি দেখে স্থানীয়রা থানায় খবর দেয় বলে জানান নওগাঁ সদর মডেল থানার ওসি মো, তোরিকুল ইসলাম।
পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে স্থানীয় ঠিকাদার জাহাঙ্গীর আলমের দুই শ্রমিক চঞ্চল ও মান্নানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নিয়েছে।
শ্মশান কমিটির সম্পাদক উপেন্দ্র নাথ সরকার বলেন, কারখানা করার জন্য মনিরুজ্জামান মনির নামে এক ব্যক্তি সেখানে ২২ বিঘা জমি কিনেছেন। সেখানে মাটি ভরাটের জন্য বলিহার গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমকে চুক্তি দিয়েছেন তিন।
“এরপর থেকে জাহাঙ্গীর আলম শ্মশানের নামে রেকর্ড করা জমি এবং সওজের জমিসহ সরকারের বেশ কিছু খাস জমি দখল করে ভরাট শুরু করে। মনির সেখানে ২২ বিঘার মত জমি কিনলেও জাহাঙ্গীর সেখানে ভরাট করে প্রায় ৩০ বিঘার মত জমি “
কিছুদিন আগে শ্মশান কালী মণ্ডপের জমি ভরাট করতে গেলে স্থানীয় হিন্দুরা বাধা দেয়। এতে জাহাঙ্গীর হিন্দুদের দেখে নেওয়ার হুমকি দেয় বলে অভিযোগ করেন তিনি।
উপেন্দ্র নাথ বলেন, জমি দখলের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েই জাহাঙ্গীর বা তার লোকজন মণ্ডপের প্রতিমা ভাংচুর করেছে বলে স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের ধারণা।
এ ব্যাপারে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, প্রতিমা ভাংচুরের সঙ্গে আমার বা আমার কোনো লোকের সম্পৃক্তা নেই।”
আর শ্মশানের জায়গাও ভরাট করা হচ্ছে না বলে তিনি দাবি করেন।
ওসি বলেন, ঘটনা যারাই করে থাকুক না কেন, তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।
খবর পেয়ে পুলিশ সুপার মো. ইকবাল হোসেন, সিনিয়র এএসপি ফারজানা হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
এ ব্যাপারে উপেন্দ্র নাথ সরকার থানায় অভিযোগ করেছেন।