কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার মেহেদি হাসান জানান, উপজেলার ছেঁউড়িয়ায় বুধবার বিকালে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় নারীসহ দুই জনকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও শিশুর পরিবার জানায়, ৪/৫ দিন আগে ছেঁউড়িয়ার চরমন্ডলপাড়া এলাকার রূপালী নামে এক নারীর মোবাইল খোয়া যায়। ওই ঘটনায় তারা একই এলাকার সাত বছর বয়সী জুয়েলকে সন্দেহ করে।
তারা বলেন, তার জের ধরে বুধবার বেলা ৩টার দিকে এলাকার তানজিল ও মীর আক্কাস ওরফে মিরু শিশুটিকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যান। পরে তানজিলের শ্বশুর বাড়ির সামনে আমগাছের ঝুলিয়ে বেধড়ক মারপিট করেন।
সন্ধ্যায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন বলে জানান তারা।
নির্যাতনের শিকার জুয়েল বলে, এক যুবক তাকে ধরে তানজিলের বাড়ির সামনে নিয়ে গিয়ে দুই হাত দড়ি দিয়ে বেঁধে আমগাছে ঝুলিয়ে দেয়। পরে তানজেল গাছের ডাল দিয়ে তাকে বেধরক পেটাতে থাকে।
তানজিলের সঙ্গে মিরু নামে একজন এবং এক মহিলাও মেরেছে বলে জুয়েলের ভাষ্য।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসক হোসাইন মো. শিহাব জানান, শিশুটির শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারধরের চিহ্ন পাওয়া গেছে। শরীরের অনেক জায়গা ফোলা আছে।
“ধারণা করা হচ্ছে- শক্ত কিছু দিয়ে তাকে আঘাত করার ফলে স্থঞানে স্থানে কালশিটে জখম হয়েছে। শিশুটিকে প্রাথমিক চিকিৎসাসহ ব্যবস্থাপত্র দেওয়া হয়েছে।”
কুমারখালী থানার ওসি আবদুল খালেক জানান, জুয়েলকে মারধরের অভিযোগে তিন জনের বিরুদ্ধে তার ভাই রুবেল বাদী হয়ে মামলা দিয়েছেন। জড়িত অভিযোগে তানজিল ও তার শাশুড়ি রোকেয়াকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
“মামলার অন্য আসামি মিরুকে গ্রেপ্তারে পুলিশী অভিযান চলছে। মারধরের ভিডিওচিত্রে তানজিল ও তার শাশুড়িকে দেখা গেছে।”