বাগেরহাটে বৃষ্টিতে দুর্ভোগ

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে দুই দিনের টানা বৃষ্টিতে বাগেরহাট পৌরশহরসহ জেলার বিভিন্ন নিচু এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে; বিঘ্নিত হচ্ছে মংলা বন্দরে পণ্য ওঠানামার কাজ।

অলীপ ঘটক বাগেরহাট প্রতিনিধি.বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 July 2017, 07:36 AM
Updated : 20 July 2017, 07:37 AM

বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ও খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বৃষ্টির কারণে খুব প্রয়োজন ছাড়া তেমন কেউ ঘর থেকে বের হচ্ছে না; রাস্তাঘাটে যানবাহনও তুলনামূলক কম চলছে।

মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাস্টার কমান্ডার মো. ওয়ালিউল্লাহ বৃহস্পতিবার সকালে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে গত দুই দিন ধরে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে।

“মংলা বন্দরে বর্তমানের সার, ক্লিংকার, যন্ত্রাংশসহ ছয়টি জাহাজ অবস্থান করছে। আবহাওয়া অফিসের পক্ষ থেকে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত জারি করায় বন্দরে মালপত্র ওঠানামার কাজ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।”

একই কারণে সুন্দরবনের বিভিন্ন নদী-খালে থাকা মাছ ধরার নৌকাগুলোকে নিরাপদে থেকে কাজ করার জন্য সতর্ক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. সাইদুল ইসলাম।

বৃষ্টিতে ফসলের ক্ষতির আশঙ্কা করেছেন অনেক কৃষক।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক আফতাব উদ্দিন বলেছেন, জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় ২৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

“বৃষ্টিতে জেলার বেশ কিছু নিচু এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। মাঠে বর্তমানে আমন ধানের বীজতলা রয়েছে। বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে বীজতলা নষ্ট হতে পারে।”

বৃষ্টিতে বাগেরহাট পৌরসভার নিচু এলাকা বাসাবাটি, খারদ্বার, সাহাপাড়া, মেইনরোড, সাধনার মোড়, পুরাতন বাজার, হাড়িখালি ও পোস্ট অফিস পানিতে নিমজ্জিত হয়ে পড়েছে। জেলার ফকিরহাট, শরণখোলা, মোরেলগঞ্জ, মংলা ও রামপাল উপজেলার নিন্মাঞ্চলও বৃষ্টির পানিতে প্লাবিত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।

বাগেরহাট শহরের বাসাবাটি এলাকার বাসিন্দা চিন্ময় পাল ও সুমন কোটাল বলেন, তাদের বাসাবাটি এলাকায় পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থা ভালো না থাকায় অল্প বৃষ্টিতেই রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে যায়। এতে চলাচলে অসুবিধা হয়।

এ এলাকায় পানি নিষ্কাশনের নালাগুলো প্রশস্ত করার দাবি জানান তারা।

তবে বাগেরহাট পৌরসভার মেয়র খান হাবিবুর রহমান বলছেন, বর্তমানে ভৈরব নদীতে পানির চাপ প্রবল। তাই শহরের নালা দিয়ে পানি নামতে পারছে না।