গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলায় গর্ভপাত ঘটানোর অভিযোগে এক ইমামকে আটক করেছে পুলিশ।
Published : 08 Jul 2017, 02:50 PM
আটক লুৎফর রহমান ওরফে লাল মিয়া (৫৫) কালিয়াকৈর উপজেলার সিনাবহ এলাকার পিরু মিয়া ওরফে ফিরুর ছেলে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
কালিয়াকৈর থানার এএসআই মো. সুরুজ্জামান ভুক্তভোগী নারীর স্বজনদের বরাতে বলেন, লাল মিয়ার দ্বিতী স্ত্রী চার-পাঁচ মাসের গর্ভবতী ছিলেন। লাল মিয়া ও প্রথম স্ত্রী যোগসাজশে দ্বিতীয় স্ত্রীর গর্ভপাত ঘটানোর জন্য তার ওপর নির্যাতন শুরু করেন।
“বৃহস্পতিবার রাতে তারা তাকে দুধের সঙ্গে গর্ভপাতের ওষুধ খাওয়ান। আর শুক্রবার ভোরে গর্ভপাত ঘটে। কিন্তু লাল মিয়া কাউকে কিছু না বলে বাড়ি থেকে আধা কিলোমিটার দূরে বাঁশঝাড়ে অপরিণত ভ্রুণ মাটিতে পুঁতে রাখেন।”
গর্ভপাতের ফলে দ্বিতীয় স্ত্রী অসুস্থ হয়ে পড়েন জানিয়ে এএসআই সুরুজ্জামান বলেন, প্রতিবেশীরা তাকে কালিয়াকৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখান থেকে তাকে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর কুমুদিনী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
“খবর পেয়ে পুলিশ শুক্রবার সন্ধ্যায় ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে লাল মিয়াকে আটক করে।”
পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে লাল মিয়ার প্রথম স্ত্রী দুই ছেলেসহ পালিয়ে যান বলে জানান এএসআই সুরুজ্জামান।
তিনি বলেন, লাল মিয়া কালিয়াকৈর উপজেলার বাগাম্বর এলাকার ভাঙ্গাল-জাঙ্গাল মসজিদের ইমাম। প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে দুই বছর অগে বিয়েবিচ্ছেদ হলেও সম্প্রতি তিনি তাকে আবার বিয়ে করেন। প্রথম স্ত্রীর পক্ষে তার দুটি ছেলে রয়েছে।
এ বিষয়ে লাল মিয়া বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, দ্বিতীয় স্ত্রী তাকে বিশ্বাস করেন না।
“পেটেব্যথা হলে তাকে চিকিৎসকের কাছে নিতে চাইলেও তিনি যাননি। তবে তাকে কোনো ওষুধ খাওয়ানো হয়নি, এমনিতেই গর্ভপাত হয়েছে।”
এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর ভাই থানায় মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।
কালিয়াকৈর থানার ওসি আব্দুল মোতালেব মিয়া লিখিত অভিযোগ পেলেই মামলা হবে বলে জানান।