সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে বুধবার মেয়েটির স্বাস্থ্য পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক শামিমুল ইসলাম বলেন, “নির্যাতনের শিকার শিশুটি শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। হাসপাতালে তার চিকিৎসা চলছে।”
রয়হাটি গ্রামে মঙ্গলবার বিকালে এ ঘটনার পর থেকে প্রতিবেশী খোকন (৩০) পলাতক রয়েছেন।
শিশুটির মা বিডিনিউজ টোয়োন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বাড়িতে বিদ্যুতের সংযোগ না থাকায় মোবাইলে চার্জ দেওয়ার জন্য প্রতিবেশী আজাহারের নাতনি জামাই খোকন প্রায়ই আমাদের বাড়িতে আসেন।
“খোকন মঙ্গলবার বিকালে আমাদের বাড়িতে গিয়ে ঘরের মধ্যে আমার মেয়েকে একা পেয়ে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এ সময় মেয়ের চিৎকারে আমি এগিয়ে গেলে খোকন পালিয়ে যায়।”
তিনি বলেন, “ঘটনাটি জানাজানির পর খোকনের পরিবার মামলা না করে স্থানীয়ভাবে ঘটনাটি মিমাংসার প্রস্তাব দেয়। কিন্তু মেয়ের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে বুধবার বিকেলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করি।”
এ ব্যাপারে সলঙ্গা থানার ওসি আব্দুর রফিক জানান, বৃহস্পতিবার সকালে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হলেও খোকনকে পাওয়া যায়নি। তবে শিশুটির পরিবারের লোকজন এ ঘটনায় এখনও কোনো মামলা করেনি।