উত্তরবঙ্গ ট্রাক-লরি-কভার্ডভ্যান-পিকআপ মালিক-শ্রমিক ঐক্যপরিষদের আহ্বায়ক আবদুল মান্মান আকন্দ মঙ্গলবার বেলা সোয়া ১১টায় বগুড়ায় এ ঘোষণা দেন।
গত রোববার সকাল ৬টায় উত্তরবঙ্গের ১৬ জেলায় ৪৮ ঘণ্টার ধর্মঘট ডেকে সোমবার তা বাড়িয়ে ৭২ ঘণ্টা করার সিদ্ধান্ত নেয় সংগঠনটি।
আবদুল মান্মান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, প্রশাসনের আশ্বাসের ভিত্তিতে ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়েছে।
“সন্ধ্যা ৭টায় জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকে এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে। কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা না নিলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেব আমরা।”
তাদের সাত দফা দাবি হলো - কাগজপত্র যাচাইয়ের নামে মহাসড়কে ‘পুলিশের হয়রানি’ বন্ধ, অবৈধ যান চলাচল বন্ধ, ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়নে ‘হয়রানি’ বন্ধ, নতুন ড্রাইভিং ও হেভি লাইসেন্স প্রদানের শর্ত সহজকরণ, যান চলাচল বিষয়ক নতুন খসড়া আইন প্রত্যাহার, পথেঘাটে ‘চাঁদাবাজি’ বন্ধ এবং পণ্যবাহনের বাম্পার খোলার সরকারি আদেশ প্রত্যাহার।
ধর্মঘটের কারণে উত্তরবঙ্গে পণ্য পরিবহনে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। কমে গেছে কেনাবেচা। আর সবজি চাষীরা পড়েছে বিশেষ ঝুঁকির মধ্যে। অনেক সবজি ক্ষেত থেকে না তুললে নষ্ট হয়ে যায়।
উত্তরাঞ্চলের সবচেয়ে বড় সবজিবাজার মহাস্থানে মঙ্গলবার সকালেও দেখা গেছে, আড়তদাররা সবজি কিনছেন না। কৃষকরা বাজারে সবজি নিয়ে এসে বসে আছেন। ক্রেতা নেই।
গত দুই দিনে একই চিত্র দেখা গেছে বগুড়ার নয়মাইল, আড়িয়া, শেরপুরসহ অন্যান্য পাইকারি বাজারে।