রাজশাহীর গোদাগাড়ীর বেনীপুরের আস্তানা থেকে আত্মসমর্পণকারী নারী ‘জঙ্গি’ সুমাইয়াকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের হেফাজতে নেওয়ার আদেশ দিয়েছে আদালত।
Published : 14 May 2017, 01:06 PM
অপারেশন সান ডেভিল: ‘জঙ্গি’ সুমাইয়াসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা
গোদাগাড়ীতে ৫ জঙ্গির মৃত্যু ‘গুলি ও বোমায়’: ময়নাতদন্ত
রোববার রাজশাহীর জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম সাইফুল ইসলাম এ আদেশ দেন।
অপরেশন ‘সান ডেভিল’ অভিযানের ঘটনায় করা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও গোদাগাড়ী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আলতাফ হোসেন জানান, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে সুমাইয়াকে আমলী আদালত-৩ এ হাজির করে ১৫ দিনের হেফাজতের (রিমান্ড) আবেদন জানানো হয়।
“শুনানি শেষে বিচারক ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।”
বৃহস্পতিবার সকালে এই অভিযানে বাড়ির মালিক সাজ্জাদ হোসেন, তার স্ত্রী বেলী, তাদের ছেলে আলামিন, মেয়ে কারিমা ও আশরাফুল ইসলাম নিহত হন। তারা সবাই জেএমবির সদস্য বলে পুলিশের ভাষ্য।
জঙ্গিদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে নিহত হন আব্দুল মতিন নামে এক ফায়ার সার্ভিস কর্মী। অভিযানের শুরুর দিকে সাজ্জাদের আরেক মেয়ে সুমাইয়া পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন।
“মামলায় ফায়ারম্যান আব্দুল মতিনকে হত্যা, পুলিশ সদস্যদের হত্যার চেষ্টা, অস্ত্র, বিস্ফোরকদ্রব্য ও জিহাদি বই রাখার অভিযোগ আনা হয়েছে।”
রিমান্ডে নেওয়ার আদেশ পেয়ে আদালত থেকে তাকে গোদাগাড়ী থানায় নিয়ে যাওয়া হয় বলে জানান আলতাফ।
তিনি আরও জানান, আতালতে হাজির করার সময় সুমাইয়ার তিন মাস বয়সী মেয়ে তার সঙ্গে ছিল। তবে তার আট বছর বয়সের ছেলে জুবায়েরকে শনিবার বিকালে তার চাচা মিনারুল ইসলামের হেফাজতে দেওয়া হয়েছে।