রোববার ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ফরেনসিক বিভাগে মেয়েটির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে বলে জানান ত্রিশাল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ মোখলেছুর রহমান আকন্দ।
তিনি জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাববিজ্ঞান ও তথ্য পদ্ধতি বিভাগের ওই ছাত্রী বাদী হয়ে গত ৪ মে মামলাটি করেন।
আসামি মিনহাজ উদ্দিন একই বিভাগের প্রভাষক।
পুলিশ কর্মকর্তা মোখলেছুর বলেন, মামলার পর আসামি গ্রেপ্তারে তৎপরতা চলছে।
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান কাজী গোলাম মোখলেছুর রহমান বলেন, মেয়েটির প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষা করানো হয়েছে। খুব শিগগির প্রতিবেদন থানায় পাঠানো হবে।
মামলার বাদী জানান, মিনহাজ উদ্দিন ও তার বাড়ি একই এলাকায় এবং তারা পরস্পর আত্মীয়। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সময় ওই শিক্ষক তাকে সহায়তা করেন এবং ওই সূত্রে তাদের একটা সম্পর্ক তৈরি হয়।
মিনহাজ বিবাহিত জানতেন না দাবি করে ওই ছাত্রী বলেন, বিয়ের প্রলোভনে ২০১৬ সালের ৭ এপ্রিল তারিখে শিক্ষক ডরমেটরিতে নিয়ে গিয়ে তাকে মিনহাজ শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন। এরপর একাধিকবার যৌন সম্পর্কে জড়িয়েছে তারা।
“এরই মাঝে চলতি বছরের মার্চ মাসে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে মিনহাজ কৌশলে তার গর্ভপাত করান। এই ঘটনার পর থেকেই তাদের সম্পর্কের অবনতি হয়।”
গত ২ মে তিনি বিভাগীয় ডিন এবং বিশ্ববিদ্যালযের উপাচার্য বরাবর শিক্ষক মিনহাজের বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ করেন।
এই ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ট্রেজারার অধ্যাপক এএমএম শামসুর রহমানকে প্রধান করে চর সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে পাঁচ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার আদেশ দিয়েছেন।
তদন্ত কমিটির প্রধান অধ্যাপক এএমএম শামসুর রহমান বলেন, “তদন্ত শুরু হয়েছে। আশা করছি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই প্রতিবেদন জমা দেওয়া সম্ভব হবে।”
এদিকে শিক্ষক মিনহাজ উদ্দিনের সঙ্গে কথা বলতে তার মোবাইলে বারবার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।