দিগন্তজোড়া মাঠে সোনালি ধানের ক্ষেত। বাতাসে দুলছে পাকা ধানের শিষ। ফসলের ক্ষেত থেকে ভেসে আসে পাকা ধানের ঘ্রাণ।
উপজেলার অতি পরিচিত এই দৃশ্য। রোগ ও পোকা মাকড়ের আক্রমণ ছিল না বলেই শার্শা উপজেলায় বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। বিগত বছরের তুলনায় এ বছর বোরো ধানের ফলন ভালো হয়েছে। ইতিমধ্যেই ধান কাটা শুরু হয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হীরক কুমার সরকার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, শার্শা উপজেলায় চলতি বোরো মৌসুমে ২১ হাজার ৫৫০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন প্রজাতির ধান চাষ করা হয়েছে। এর মধ্যে এক হাজার ২০ হেক্টর জমিতে হয়েছে সুগন্ধি বাশমতি ধান।
তিনি বলেন, এ বছর সার, বীজ, কীটনাশকসহ কৃষি উপকরণ সহজলভ্য ছিল। পোকার আক্রমণ ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হওয়ায় ধানের ফলন ভালো হয়েছে। কৃষক আগাম জাতের ধান কাটতে শুরু করেছেন। এক সপ্তাহের মধ্যে পুরোদমে ধান কাটা শুরু হবে বলে হীরক জানান।
বেনাপোলের বারোপোতা গ্রামের বোরোচাষি আব্দুল মোমিন বলেন, চার বিঘা জমিতে বোরো ধানের আবাদ করছেন। রেকর্ড ফলন পেয়েছেন। এখন শুধু দাম আর ফসল ঘরে তোলা নিয়ে তার চিন্তা।
সামটা গ্রামের ধানচাষি আব্দুস সালাম বলেন, এ বছর ধান কাটা শ্রমিকের দাম অনেক বেশি। প্রতিবিঘা ধান কাটা, বাঁধা ও ঝাড়তে দিতে হচ্ছে চার হাজার টাকা। গত বছর ছিল আড়াই হাজার টাকা।
তবে এত খুশির খবরের মধ্যেও কারও কারও মুখে হতাশার ছায়া পড়ে।
শার্শার হরিণাপুতা গ্রামের কবীর হোসেন ও পান্তাপাড়া গ্রামের আব্দুল খালেক বলেন, বেশি লাভের আশা করে বাশমতির আবাদ করেছিলেন। কিন্তু ব্লাস্ট ছত্রাকের কারণে এই ধান চাষ করে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।