খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি দিদার আহাম্মদ জানান, বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক থাকতে পারে সন্দেহে বিশেষ সতর্কতার সঙ্গে অভিযান শুরু করা হয়।
শুক্রবার বিকাল ৫টার দিকে সদর উপজেলার পোড়াহাটি গ্রামের আব্দুল্লাহ নামে ধর্মান্তরিত এক ব্যক্তির এই বাড়িটি ঘেরাও করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।
ডিআইজি দিদার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, অভিযান চালানোর জন্য পুলিশের পাশাপাশি কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের ৩০ সদস্যের একটি দল ঢাকা থেকে ঝিনাইদহ আসে।
“বেলা ১০টার দিকে শুরু হয় অভিযান। সেখানে ইতোমধ্যেই কিছু বোমা নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে ১৪টি তরল পদার্থ ভরা কন্টেইনার। ৩০ লিটারের এসব কন্টেইনারের লেবেলে ‘হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড’ লেখা রয়েছে।”
অভিযান শেষে বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
বাড়িটি ঘিরে ফেলার পর কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মো. ছানোয়ার হোসেন বলেছিলেন, “বাড়িতে প্রচুর কেমিক্যাল ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে। কয়েকটা সুইসাইডাল ভেস্ট দেখা যাচ্ছে।”
“বাড়িটিকে নব্য জেএমবির সদস্যরা বোমা তৈরির কারখানা হিসেবে ব্যবহার করত।”
ঝিনাইদহের পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান জানান, দুই কক্ষের টিনের এই বাড়ির মালিক আব্দুল্লাহ পাঁচ বছর আগে হিন্দু ধর্ম ছেড়ে ইসলাম গ্রহণ করেন।
গোপন খবরের ভিত্তিতে বাড়িটি ঘেরাও করা হয় বলে জানান কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের উপকমিশনার মহিবুল ইসলাম খান।
তিনি বলেন, “আমরা অনেকটাই নিশ্চিত যে এখন ও বাসায় কেউ নেই। তবে এখানে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক আছে বলে ধারণা করছি।”
শহর থেকে পূর্বদিকে প্রায় সাত কিলোমিটার দূরে ঝিনাইদহ-মাগুরা সড়ক থেকে প্রায় আধা কিলোমিটার ভেতরে বাড়িটির অবস্থান।
বাড়ি ঘিরে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের দেখে রাতে চারপাশে ভিড় করে উৎসুক জনতা। পৌনে ৯টার দিকে পুলিশের পক্ষ থেকে সবাইকে নিরাপদ দূরত্বে সরে যেতে বলা হয়।
সম্প্রতি চট্টগ্রাম, সিলেট, মৌলভীবাজার, কুমিল্লা ও ময়মনসিংহে অন্তত সাতটি বাড়িতে জঙ্গিবিরোধী অভিযানের পর পুলিশ মহাপরিদর্শক শহীদুল হক এ মাসের শুরুতেই বলেছিলেন, এ ধরনের আরও জঙ্গি আস্তানা দেশে রয়েছে।