‘ই-কমার্সের নামে জেএমবির নেটওয়ার্ক’

নারায়ণগঞ্জ ও কুমিল্লায় আটক আট ‘জেএমবি সদস্যের’ বরাতে র‌্যাব বলছে, তথ্যপ্রযুক্তিতে পারদর্শী জেএমবি সদস্যরা ই-কমার্সের নামে দেশের বিভিন্ন এলাকায় নেটওয়ার্ক বিস্তার করেছে।

কুমিল্লা প্রতিনিধিনারায়ণগঞ্জ ও বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 April 2017, 09:32 AM
Updated : 7 April 2017, 09:40 AM

বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার ভোর পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে ও কুমিল্লার গৌরীপুরে অভিযান চালিয়ে ‘জেএমবির সারোয়ার-তামিম’ গ্রুপের আট সদস্যকে আটক করা হয়।

র‌্যাব-১১-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল কামরুল হাসান সাংবাদিকদের বলেন, আটককৃতরা সিদ্ধিরগঞ্জ থানার সাইনবোর্ড এলাকায় পারিজাত মার্কেটে গোপন বৈঠকের জন্য জড়ো হয়েছিল।

“এ সময় গোপন খবরের ভিত্তিতে অভিযান চালানো হয়। মার্কেট থেকে পাঁচজনকে আটক করার পর তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী কুমিল্লার গৌরীপুরে অভিযান চালিয়ে আটক করা হয় অন্য তিনজনকে।”

আটককৃতরা বিভিন্ন স্থানে নাশকতা সৃষ্টির জন্য তৈরি হচ্ছিল জানিয়ে তিনি বলেন, “তাদের কাছ থেকে সাতটি ককটেল, বিস্ফোরক ও বোমা তৈরির বিভিন্ন সরঞ্জামসহ জিহাদি বইপত্র জব্দ করা হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে নাশকতা সৃষ্টির জন্য তারা এসব বিস্ফোরকগু মওজুদ করেছিল।”

আটককৃতরা হলেন - রাজধানী ঢাকার ডেমরা এলাকার জামাল ওরফে রাসেল জিহাদি (৩৫), ডেমরা কদমতলী এলাকার খন্দকার আবু নাঈম ওরফে নাঈম জিহাদি (৪৯), কোনাপাড়া এলাকার মো. নূরুল আবছার (২৭), সিদ্ধিরগঞ্জের মো. মহসিন (৫২), রূপগঞ্জের জাবির হাওলাদার (২২), কুমিল্লার দাউদকান্দি এলাকার আক্তারুজ্জামান ওরফে মারুফ (৩২), মুরাদনগর এলাকার হাফেজ মাওলানা ওমর ফারুক (৩২) ও গৌরীপুর এলাকার আবুল কাশেম মুন্সী (৩১)।

আটককৃতদের বরাতে র‌্যাব কর্মকর্তা হাসান বলেন, “তারা সংগঠনের সদস্য বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন নামে ই-কমার্স কার্যক্রম চালাচ্ছিল। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দেওয়ার জন্য ই-কমার্স কোম্পানির নামও তারা প্রায়ই পরিবর্তন করত।

“সম্প্রতি তারা নতুন দিগন্ত নামে আরও একটি ই-কর্মাস জাতীয় এমএলএম কোম্পানি চালু করে। তাদের সঙ্গে ডেসটিনিতে কাজ করা অভিজ্ঞ সদস্যও রয়েছে। ই-কমার্সের নামে সদস্য বৃদ্ধির পাশাপাশি ফেইসবুকে তারা ভাইরাল আকারে বিভিন্ন উগ্রবাদী মতার্দশ প্রচার করে আসছিল।”

তাদের নেটওয়ার্ক সম্পর্কে তিনি বলেন, “আটককৃত এই সদস্যরা নারায়ণগঞ্জ ছাড়াও ঢাকা, কুমিল্লা ও উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন স্থানে শক্তিশালী নেটওয়ার্ক বিস্তার করেছে। তারা বাড়ি ভাড়াসহ সব প্রয়োজনে ভুয়া জাতীয়পত্র ও অন্যান্য নথিপত্র তৈরি করত।

“তাদের নেটওয়ার্কের আওতায় তথ্যপ্রযুক্তি, জঙ্গিবাদ ও অস্ত্রচালনাসহ বিভিন্ন বিষয়ে পারদর্শী বিপুল সংখ্যক সদস্য ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে। তারা যেকোনো ধরনের নাশকতা ঘটাতে পারে। এ কারণে র‌্যাবের জঙ্গিবিরোধী অভিযান অব্যাহত থাকবে।”