কোন্দলের মধ্যে পুড়ল জয়পুরহাট বিএনপির কার্যালয়

আগুনে পুড়েছে জয়পুরহাট জেলা বিএনপির কার্যালয়; দলে বিবদমান দুটি পক্ষ পরস্পরের বিরুদ্ধে আগুন দেওয়ার অভিযোগ তুলেছে।

জেলা শহরের রেলগেইট এলাকায় বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জেলা বিএনপির কার্যালয় আগুনে পুড়ে যায়।

সদর থানার ওসি ফরিদ হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট গিয়ে আগুন নেভানোর আগেই টেলিভিশন, চেয়ার-টেবিলসহ লক্ষাধিক টাকার মালপত্র পুড়ে যায়।

প্রত্যক্ষদর্শী বিএনপির নেতাকর্মীরা বলেন, কেন্দ্রীয় কমিটি জেলা বিএনপির যে কমিটি সম্প্রতি অনুমোদন করেছে সেখানে অনেক ত্যাগী নেতাকর্মী পদ পাননি। ফলে জেলা বিএনপির সভাপতি মোজাহার আলী প্রধান ও সাধারণ সম্পাদক নাফিজুর রহমান পলাশের কুশপুত্তলিকা দাহ করা ছাড়াও বিক্ষোভ দেখান বিএনপির একাংশের নেতাকর্মীরা।

এরই ধারাবাহিকতায় পদ না পেয়ে ক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরাই জেলা বিএনপির কার্যালয় পুড়িয়ে দিয়েছে বলে সন্দেহ করছেন দলটির অনেক নেতাকর্মী।

আগুনের বিষয়ে জয়পুরহাট-১ (সদর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা বিএনপির বর্তমান সভাপতি মোজাহার আলী প্রধান বলেন, “জয়পুরহাট-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি গোলাম মোস্তফা ও তাদের কিছু অনুসারী নিজেদের পছন্দমতো পদ না পেয়ে নিজ দলের বিরুদ্ধে নেমেছেন।

“তাদের সঙ্গে রয়েছেন বিএনপি সরকারের সাবেক মন্ত্রী আব্দুল আলীমের ছেলে ফয়সল আলীমও, যিনি সদ্য সদস্যপদ পেয়েছেন। তারা নিজ দলের বিরুদ্ধে কাজ করছেন।”

মোজাহারের অনুসারীরা গোলাম মোস্তফাদের দায়ী করলেও তিনি কার্যালয়ে আগুন দেওয়ার জন্য সরাসরি কাউকে দায়ী করেননি।

অন্যদিকে গোলাম মোস্তফা বলছেন, “পলাশ বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত ছিলেন। হঠাৎ করে তাকে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদকের পদ দেওয়ায় বিএনপির অধিকাংশ নেতাকর্মী ক্ষুব্ধ হন। তারা মোজাহার ও পলাশের কুশপুত্তলিকা দাহ করেন। এরই অংশ হিসেবে কার্যালয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।”

তিনি বর্তমানে ঢাকায় রয়েছেন জানিয়ে বলেন, “বিএনপির অভ্যন্তরীণ বিরোধের জন্য মোজাহার আলীই দায়ী।”

আগুনের বিষয়ে কেউ মামলা করলে পুলিশ তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবে বলে ওসি ফরিদ হোসেন জানান।