উপজেলার নান্দিকাঠী গ্রামের রেজাউল চৌধুরীকে মঙ্গলবার আদালতে দেখে কারাগারে পাঠিয়েছেন জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম এইচ এম কবির হোসেন। নিজে বাদী হয়ে রেজাউলের বিরুদ্ধে একটি মামলাও করেছেন তিনি।
ওই আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. জিয়াউদ্দিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “নলছিটিতে এক ছাত্রীকে ভয়ভীতি দেখিয়ে তার পরিহিত বোরখার মুখের উপরের পর্দা তুলতে বাধ্য করেন রেজাউল। এ ঘটনাটি কয়েকটি অনলাইন ও পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।”
চাঁদা না পাওয়ায় মনিরসহ ওই চারজন তার বিরুদ্ধে ফেইসবুকে এই ভিডিও ছড়িয়েছে বলে অভিযোগ নিয়ে আসেন তিনি।
তখন বিচারক রেজাউলকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়ে তার বিরুদ্ধে ধর্মীয় বিশ্বাসে আঘাত হানা, ছাত্রীর অমর্যাদা ও অশ্লীল অঙ্গভঙ্গির অভিযোগে মামলা দায়ের করেন বলে বেঞ্চ সহকারী জানান।
তরুণীকে উত্যক্তের ওই ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে নলছিটি থানার ওসি এ কে এম সুলতান মাহমুদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সাংবাদিক মনীরুজ্জামান মনিরের মাধ্যমে ভিডিওচিত্রটি তারা বেশ কিছুদিন আগে পান। তবে ‘ভিকটিম’ তরুণী ও তার ছেলে বন্ধুকে না পাওয়ায় এ বিষয়ে আর অগ্রসর হননি।
ভিডিও কোথায় পেলেন জানতে চাইলে মনির বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, নান্দিকাঠি গ্রামের একজন বাসিন্দা নাম প্রকাশ না করার শর্তে তাকে ওই ভিডিওটি দিয়েছেন।
ঘটনাটি জানুয়ারি মাসের প্রথম দিকে ঘটে বলে ধারণা তার।
নান্দিকাঠির আব্দুল জলিল চৌধুরীর ছেলে রেজাউল নলছিটি পৌরসভার মেয়র তসলিমুদ্দিন চৌধুরীর ঘনিষ্ঠজন বলে এলাকাবাসীর ভাষ্য। আওয়ামী লীগ সংশ্লিষ্ট এই যুবক নিজেকে মেয়রের ভাতিজা পরিচয় দেন বলে কয়েকজন জানান।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মেয়র তসলিমুদ্দিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সে আমার ভাতিজা কি না তা আপনারা অনুসন্ধান করে দেখেন।”