গাইবান্ধার সংসদ সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন হত্যায় গ্রেপ্তার কাদের খানের এক সময়ের ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) শামছুজ্জোহা সরকার ওরফে জোহা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
Published : 05 Mar 2017, 06:16 PM
গাইবান্ধা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্যাহ আল ফারুক জানান, শামছুজ্জোহাকে পুলিশ হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে রোববার বিকাল ৩টায় গাইবান্ধা (সুন্দরগঞ্জ) আমলী আদালতে হাজির করা হয়।
“সেখানে বিকাল ৫টা পর্যন্ত তিনি অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মইনুল হাসান ইউসুফের কাছে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।
“জবানবন্দিতে জোহা এ হত্যাকাণ্ডটি সফল করতে নিজের প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন।”
লিটন হত্যায় শামছুজ্জোহাকে কয়েকদিন ধরে নজরদারিতে রাখার পর রোববার ভোরে সাদুল্লাপুর উপজেলার নলডাঙ্গা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্যাহ আল ফারুক।
শামছুজ্জোহা সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ধোপাডাঙ্গা ইউনিয়নের কিশামত হলদিয়া গ্রামের আবদুল জোব্বারের ছেলে।
সাদুল্লাপুর উপজেলার নলডাঙ্গা বাজারে তার একটি রড়-সিমেন্টের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আছে। ২০০৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টি (এরশাদ) থেকে কাদের খান এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর শামছুজ্জোহাকে ব্যক্তিগত সহকারী হিসেবে (পিএস) নিয়োগ দেন বলে জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা।
লিটন হত্যা মামলার তদন্তকারী নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশ সদস্য জানান, লিটন হত্যার সমন্বয়কারী সুন্দরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক দপ্তর সম্পাদক চন্দন কুমার সরকার গত এক বছর ধরে কাদের খানের চার কিলার নিয়ে শামছুজ্জোহার নলডাঙ্গা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে নিয়মিত বৈঠক করতেন। সেখান থেকেও কিলারদেরকে লিটন হত্যার বিষয়ে নানাভাবে পরামর্শ দেওয়া হতো।
গত ৩১ ডিসেম্বর নিজ বাড়িতে দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত হন লিটন। এ ঘটনায় লিটনের বোন তাহমিদা বুলবুল বাদী হয়ে অজ্ঞাত পরিচয়ের পাঁচজনকে আসামি করে মামলা করেন।
এ ঘটনায় জাতীয় পার্টির (এরশাদ) সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল কাদের খানকে গত ২১ ফেব্রুয়ারি গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এর আগে মেহেদি, শাহীন, রানা ও কাদের খানের ব্যক্তিগত গাড়ি চালককে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। এছাড়া পুলিশ এ হত্যাকাণ্ডে সুবল চন্দ্র সরকার নামে কাদেরের কথিত সহযোগীকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।