ফরিদপুরে ১৩ নিহতের পাঁচজন শনাক্ত

হানিফ পরিবহনে আগুনে পুড়ে ফরিদপুরে নিহত ১৩ জনের মধ্যে পাঁচটি লাশ শনাক্ত করা গেছে; শরীরের অধিকাংশ পুড়ে যাওয়ায় অন্যদের পরিচয় এখনও অজ্ঞাত।

ফরিদপুর ও নড়াইল প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 Feb 2017, 09:07 AM
Updated : 11 Feb 2017, 01:34 PM

ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক কামরুজ্জামান জানান, শরীর অধিকাংশ অংশ পুড়ে যাওয়ায় ১০টি লাশ শনাক্ত করার মতো অবস্থায় নেই।

শুক্রবার রাত ১১টার দিকে খুলনা থেকে নড়াইলের লোহগড়া হয়ে হানিফ পরিবহনের একটি বাস ৩৯ জন যাত্রী নিয়ে ঢাকা যাচ্ছিল। ফরিদপুরের নগরকান্দার গজারিয়ায় বাসের সামনের চাকা ফেটে বিপরীত দিক থেকে আসা কভার্ডভ্যানের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে কভার্ডভ্যানে থাকা গ্যাস সিলিন্ডারে আগুন ধরে গেলে ১৩ জন পুড়ে মারা যান।

তাদের লাশ ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে রয়েছে।

নিহতদের স্বজনরা পাঁচজনের লাশ শনাক্ত করেছেন।

এরা হলেন - কভার্ড ভ্যানের চালক যশোরের বাহাদুরপুরের আশা ইসলাম, হানিফ পরিবহনের চালক নড়াইলের হেমায়েত হোসেন, গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার নিনজা গ্রামের মো. গোলাম রসুল। বাসের চালকের সহকারী নড়াইলের বাঁশগ্রামের মো. জুয়েল ও নড়াইলের কাগজীপাড়ার মো. শাহজাহান,

এছাড়া বাসের যাত্রী নূর জালালকে তাদের স্বজনরা খুঁজে পাচ্ছেন না বলে জানিয়েছেন।

দুর্ঘটনায় আহত নড়াইল শহরের হাটবাড়িয়ার খালেক মিয়া ও তার স্ত্রী শিরিনা খাতুন, মহিষখোলার আল-আমিন, জহিরুল ও শরিফুল, নড়াইল পৌরসভার ডুমুরতলার তমসির, শারমিন, দূর্গাপুরের আবিদ, সদরের ফুলসর গ্রামের পিয়ারি, জঙ্গলগ্রামের মনিরুল, বাঁশগ্রামের জাহিদ শেখ, সিতারামপুরের সমর কবিরাজ, লোহাগড়া উপজেলা নগর গ্রামের সুরুজ ও বরিশালের বাখেরগঞ্জের সাব্বিরকে নড়াইল সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

নড়াইলের সদর হাসপাতালের চিকিৎসক সুজল বকসী বলেন, “আমাদের এখানে চিকিৎসাধীন ওই ১৩ জন আশঙ্কামুক্ত।”

ফরিদপুর মেডিকেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক কামরুজ্জামান জানান, এখন ডিএনএ টেস্ট ছাড়া ওই ১০ জনের পরিচয় জানা সম্ভব না। ফরিদপুরে ডিএনএ টেস্টের ব্যবস্থা নেই। এটা ফরেনসিক বিভাগের কাজ।

“কেউ যদি আবেদন করেন তাহলে আমরা ঢাকা থেকে ডিএনএ টেস্টের ব্যবস্থা করব।”

ফরিদপুরের ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক কামরুজ্জামান বলেন, পরিচয় নিশ্চিত করতে না পারায় লাশগুলো হস্তান্তর করা যাচ্ছে না। পরিচয় জানতে পারলে স্বজনদের বুঝে দেওয়া হবে।

দুর্ঘটনায় পড়া গাড়ি দুটি উদ্ধার করে ভাঙ্গা হাইওয়ে থানায় রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ফরিদপুর হাইওয়ে পুলিশের ওসি এজাজুল ইসলাম।