সোমবার দুপুরে ভুট্টোমহ চারজনের বিরুদ্ধে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সগির মিয়া বাদী হয়ে প্রতারণার মামলা করেছেন বলে জানিয়েছেন সিলেট কোতোয়ালি থানার ওসি সোহেল আহমদ।
মামলায় টাকার লোভে স্বেচ্ছায় বদলি সাজা ভোগকারী ভুট্টো ছাড়াও আইনজীবী শাহ আলম, শিক্ষানবিশ আইনজীবী ও মূল আসামি ইকবাল হোসেন বকুলের ভাই শামীম আহমেদ এবং বিআরটিএ অফিসের দালাল লিয়াকত হোসেনকে আসামি করা হয়েছে।
বদলি সাজা ভোগের ঘটনা জানাজানির পর একটি হত্যায় যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত আসামি বকুলের হয়ে ভুট্টো দুই বছর ধরে সাজা খাটছিলেন বলে বিচার বিভাগীয় তদন্তে প্রমাণ মিলেছে।
তদন্তে প্রমাণের পর রোববার তাদের বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা করতে নির্দেশ দেন সিলেটের জেলা ও দায়রা জজ মনির আহমদ পাঠোয়ারী।
ওই কমিটির প্রধান সিলেটের মুখ্য বিচারিক হাকিম কাজী আব্দুল হান্নান বলেন, সেইসঙ্গে রিপনকে হত্যামামলা থেকে অব্যাহতি দিয়ে মূল আসামি বকুলকে গ্রেপ্তার করে আদালতে হাজির করার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে ২০১৫ সালের ১১ অক্টোবর একটি হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত বকুলের বদলি হয়ে এসে বন্দি হন রিপন। পরে বিচার বিভাগীয় তদন্তের নিদের্শ দেওয়া হয়।
তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রিপন টাকার লোভে স্বেচ্ছায় বদলি সাজা ভোগ করছেন। তাকে প্ররোচিত করেন অন্য তিনজন।
সিলেটের সদর উপজেলার মোগলগাঁও ইউনিয়নের চানপুর গ্রামের আলোচিত আলী আকবর সুমন হত্যা মামলার আসামি ছিলেন বকুল, যার হয়ে সাজা খাটছিলেন ভুট্টো।
মূল আসামি বকুল বর্তমানে সৌদি আরবে রয়েছেন বলে জানান হাকিম আব্দুল হান্নান।
২০১২ সালের ২০ জুন সুমন হত্যা মামলার রায় দেন সিলেটের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক দিলীপ কুমার দেবনাথ। মামলায় অভিযোগপত্রভুক্ত নয় আসামির মধ্যে বকুলসহ তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
বকুল (২৬) সদর উপজেলার হাউসা গ্রামের আব্দুল মতিনের ছেলে।
তার সঙ্গে দণ্ডিত অন্য দুজন দরাছ মিয়া ওরফে গয়াছ (৩৪) ও তার স্ত্রী রুজিনা বেগমও (৩২) একই গ্রামের।