সোমবার মেহেরপুর বিচারিক হাকিম সানাউল্লাহ মিয়া এ আদেশ দেন।
আদেশ কার্যকরের জন্য পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে বাদীর আইনজীবী এহান উদ্দিন মনা জানান।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন মেহেরপুরে কর্মরত কারারক্ষী আলামীন হোসেন, সোলাইমান হোসেন ও মামুন হোসেন।
সাবেক কারাপ্রধান শেখ আখতার বর্তমানে যশোরে জেলা কারাগারে কর্মরত রয়েছেন।
গত ১৩ নভেম্বর মেহেরপুর কারা অভ্যন্তরে নির্যাতিত বন্দি আসামি শেখ শাহির ছোট ভাই মনিরুল ইসলাম চারজনকে আসামি করে আদালতে মামলা করেন।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, কারাগারের ভেতরে আসামিদের বিভিন্ন দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় দুই বছরের সাজাপ্রাপ্ত শেখ শাহির ওপর শারীরিক নির্যাতন চালায় তারা।
আসামিরা শাহির কাছে ৫০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন। না দিলে তাকে নির্যাতন করার হুমকি দেওয়া হয়। এরপরও শাহি ঘুষ না দেওয়ায় তাকে অনবরত নির্যাতন করা হয়।
এক পর্যায়ে গুরুতর অসুস্থ হলে পড়লে স্থানীয়ভাবে তাকে কোনো চিকিৎসা না দিয়ে উল্টো ঘটনা ধামাচাপা দিতে গোপনে তাকে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।
মেহেরপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের আইনজীবী এহান উদ্দিন মনা জানান, বিষয়টি জানাজানি হলে আদালতের মাধ্যমে শাহি জামিনে মুক্তি পান। পরে তাকে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসকেরা শাহির শরীরে নির্যাতনের ক্ষত উল্লেখ করে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেন।
এ বিষয়ে কারাপ্রধানসহ অন্য আসামিদের বক্তব্য জানতে তাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।