সব মামলায় জামিন পাওয়ার পর মুক্তির অপেক্ষায় থাকা গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাময়িক বরখাস্ত মেয়র কারাবন্দি এম এ মান্নানকে আরেকটি মামলায় গ্রেপ্তারের আদেশ দিয়েছে আদালত।
Published : 25 Nov 2016, 08:49 PM
শুক্রবার গাজীপুরের বিচারিক হাকিম মো. ইলিয়াস রহমান এ আদেশ দেন।
আদালত পুলিশের পরিদর্শক মো. রবিউল ইসলাম জানান, টঙ্গী শিলমুন এলাকার মো. রমিজ উদ্দিন বৃহস্পতিবার রাতে এম এ মান্নানসহ সাত জনের নামে এবং অজ্ঞাত পরিচয় আরও ২-৩ জনের বিরুদ্ধে জয়দেবপুর থানায় চাঁদাবাজি ও মারধরের মামলা করেন।
শুক্রবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কারবন্দি মান্নানকে গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশের জন্য এই আদালতে আবেদন করেন বলে জানান পরিদর্শক রবিউল।
বৃহস্পতিবার দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় সাময়িক বরখাস্ত এই মেয়রকে হাই কোর্টের দেওয়া জামিন আপিল বিভাগ বহাল রেখেছে। ফলে তিনি কারামুক্তির অপেক্ষায় ছিলেন।
নতুন মামলার অভিযোগে বলা হয়, বাদী মো. রজিম উদ্দিন টঙ্গী শিল্প এলাকায় তার নিজ জমিতে কারখানা করার জন্য অনাপত্তি সনদের (এনওসি) জন্য মেয়র এম এ মান্নানের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এ প্রেক্ষিতে ২০১৪ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর বাদী তার কাগজপত্রসহ মেয়রের কার্যালয়ে যান। এ সময় মেয়র কার্যালয়ের একটি কক্ষে নিয়ে মেয়র মান্নান নিজে তার কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা না দিলে তাকে কারখানা করতে দেবেন না বলে হুমকি দেন।
দাবিকৃত চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে মান্নানের নির্দেশে অপর আসামি মেয়রের সহকারী ব্যক্তিগত সচিব (এপিএস) মো. বিল্লাল হোসেন, মো. রইচ উদ্দিন, আরিফ হাওলাদার, মো. সালাউদ্দিন, মো. আমিনুল ইসলাম লিটু ও মো. কাওসারসহ অজ্ঞাতনামা আরও ২-৩ জন তাকে এলোপাতাড়ি মারধর করেন।
এক পর্যায়ে তিনি ডাক-চিৎকার করলে মান্নান তার গলা চেপে শ্বাসরোধে হত্যার চেষ্টা করেন।
এ সময় অন্য আসামিরা তার কাছ থেকে নগদ ৫৫ হাজার টাকা ও মোবাইল ফোন সেট ছিনিয়ে নেন। আর চাঁদা না দিলে তাকে হত্যা করে বস্তায় ভরে নদীতে ফেলে দেওয়ার হুমকি দেন।
মান্নানের আইনজীবী মো. শহীদুজ্জামান জানান, যাত্রীবাহী বাসে পেট্রোল বোমা হামলার মামলায় গত বছরের ১১ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় এম এ মান্নানকে ঢাকার বারিধারার বাসভবন থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। সব মামলায় জামিন লাভের পর চলতি বছরের ২ মার্চ তিনি কারামুক্ত হন। এপ্রিলে তিনি মেয়র পদ ফিরে পান। এরপর ১৫ এপ্রিল ফের তাকে নাশকতার মামলায় গ্রেপ্তার করে আইনশৃংখলা বাহিনী। পরে তাকে আবার বরখাস্ত করা হয়।
১৫ এপ্রিল থেকে তিনি কারাগারে আছেন। এ নিয়ে তার বিরুদ্ধে মোট ২৮টি মামলা হয়েছে।