জামায়াত নেতাকে মামলা থেকে অব্যাহতির সুপারিশ আ. লীগ নেতাদের

ঠাকুরগাঁওয়ে একটি নাশকতার মামলা থেকে এক জামায়াত নেতাকে অব্যাহতির সুপারিশ করেছেন স্থানীয় কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতা।

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিমো. শাকিল আহমেদ, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 Nov 2016, 10:32 AM
Updated : 25 Nov 2016, 11:39 AM

সুপারিশপত্রে ঠাকুরগাঁও-২ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি দবিরুল ইসলামের স্বাক্ষর থাকলেও তার দাবি, ওই স্বাক্ষর জাল করা হয়েছে।

অপর সুপারিশকারীদের মধ্যে রয়েছেন সদর উপজেলার ঢোলারহাট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি অখিলচন্দ্র রায়, সাধারণ সম্পাদক হাসান মিয়া, ঢোলারহাট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সীমান্ত কুমার বর্মণ ওরফে নির্মল। তারা সই করার কথা স্বীকার করেছেন।

ঠাকুরগাঁওয়ের পুলিশ সুপার ফারহাত আহমেদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “গত ১৬ নভেম্বর সংসদ সদস্য দবিরুল ইসলামের সই করা একটি সুপারিশপত্র হাতে পেয়েছি।

“সেখানে সন্ত্রাসবিরোধী মামলা থেকে সদর উপজেলা জামায়াতের আমির শামসুজ্জামান দুলালকে অব্যাহতি দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। তবে বিষয়টি পুলিশ আমলে নেয়নি। দুলাল সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকলে সেভাবেই তার বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়া হবে।”

শামসুজ্জামান দুলাল বলছেন, “আমি কোনো অপরাধের সঙ্গে জড়িত নেই দেখে এমপি সাহেব সুপারিশ করেছেন।”

সুপারিশ সম্পর্কে সংসদ সদস্য দবিরুল ইসলাম বলেন, “আমি কোনো জামায়াত নেতাকে মামলা থেকে অব্যাহতির বিষয়ে সুপারিশ করিনি। আমাকে বিতর্কিত করার জন্য কেউ আমার নাম, সিল ও স্বাক্ষর জাল করে এ কাজটি করেছে।”

সুপারিশপত্রে স্বাক্ষরকারী সদর উপজেলার ঢোলারহাট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি অখিল চন্দ্র রায় বলেন, “জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি দবিরুল ইসলামের সই দেখে আমি সই করেছি।”

ঢোলারহাট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সীমান্ত কুমার বর্মণ বলেন, “শামসুজ্জামান দুলাল আমার এলাকার ছেলে। তাকে কোনো অপরাধমূলক কাজে জড়িত বলে মনে হয়নি দেখে সই করেছি।”

ঠাকুরগাঁও সদর থানার এসআই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোলাম মর্তুজা বলেন, গত ১১ জুন রাতে সদর উপজেলার গড়েয়া ইউনিয়নের কিসামত তেওয়ারীগাঁও গ্রামে লুৎফর রহমানের বাড়িতে জঙ্গি সদস্য ও জঙ্গি-সমর্থকরা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নের জন্য গোপন বৈঠক করছিলেন।

“অভিযান চালিয়ে বিপুলসংখ্যক জিহাদি বই, লিফলেট ও চাঁদা আদায়ের রসিদসহ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করলেও অন্যরা পালিয়ে যায়। পরে সদর উপজেলা জামায়াতের আমির শামসুজ্জামান দুলালসহ সাতজনকে বিভিন্ন স্থান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।”

পরে তাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করে আদালতে পাঠানো হয়, বলেন এসআই মর্তুজা।

দুলালের নামে রুহিয়া থানায়ও একটি মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছেন রুহিয়া থানার ওসি খান মো. শাহরিয়ার।