মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাল পেয়েছেন বলে দাবি করেছেন তিনি।
কমালাখী বিশ্বাস ২০০৪ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত রঘুনাথপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন।
রঘুনাথপুর ইউনিয়নের ডিলার ভূপতি বনিক বলেন, “চেয়ারম্যান কমলাখী বিশ্বাসের কাছে ১০ টাকার চালের কার্ড রয়েছে। আমি চাল দিতে বাধ্য। সে কারণে আমি তাকে চাল দিয়েছি।”
কমলাখী এ পর্যন্ত দুই বারে ৬০ কেজি চাল উত্তোলন করেছেন বলে জানান এই ডিলার।
চাল পাওয়ার কথা স্বীকার করে কমলাখী বিশ্বাস বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় আমি ১০ টাকার চালের কার্ড পেয়েছি।”
এ কার্ডের মাধ্যমে তিনি দুইবার চাল উত্তোলন করে এক হতদরিদ্র প্রতিবেশীকে দিয়েছেন বলে জানান তিনি।
গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন বলেন, “এ কার্ড শুধু হত দরিদ্ররাই পাবেন। এতে কোটার কোনো সুযোগ নেই।
“তাই সাবেক চেয়ারম্যান বা স্বচ্ছল ব্যক্তিরা এ কার্ড পাবেন না। আমরা এ জাতীয় কার্ড বাতিল করার জন্য উপজেলা পরিষদের সভায় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। দ্রুত এ কার্ড বাতিল করা হচ্ছে।”
এ ব্যাপারে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।